পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদন ভট্টের কত হাজার টাকার একখান নোট পড়ে ছিল। টাকার : লোভে সে টপ করে খেয়ে ফেলেছে—গিলে ফেলেছে-পরে কোনও । রূপে বার করবে। কিন্তু নোট আদায় হল । শেষে তিন বৎসর । মেয়াদ । আমি সরল বুদ্ধিতে ভাবতুম, বুঝি বেশি এগিয়ে পড়েছেমাইরি বলছি ! - [ পূৰ্ব্বকথা—মহেন্দ্র পালের টাকা ফিরানে—ভগবতী তেলী, কৰ্ত্ত ভজ মেয়ে মানুষ নিয়ে সাধনের নিন্দ ] “এখানে সিথির মহিন্দোর পাল পাঁচটি টাকা দিয়ে গিছলো— রামলালের কাছে । সে চলে গেলে পর রামলাল আমায় বললে । আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কেন দিয়েছে ? রামলাল বললে, এখানের জন্তে দিয়েছে। তখন মনে উঠতে লাগল যে—দুধের দেন রয়েছে, না হয় কতক শোধ দেওয়া যাবে। ওমা, রাত্রে শুয়ে আছি, হঠাৎ উঠে পড়লাম। একবার বুকের ভিতর বিল্লী আঁচড়াতে লাগল ! তখন রামলালকে গিয়ে বললাম, কাকে দিয়েছে ? তোর খুড়িকে কি দিয়েছে? রামলাল বললে, না আপনার জন্য দিয়েছে। তখন বললাম, না ; এক্ষুনি টাকা ফিরিয়ে দিয়ে আয়, তা না হ’লে আমার শান্তি হবে না । . . . . “রামলাল ভোরে উঠে টাকা ফিরিয়ে দিয়ে আসে, তবে হয় । । “ও দেশে ভগি তেলী, কৰ্ত্তাভজার দলের । ঐ মেয়ে মানুষ নিয়ে সাধন। একটি পুরুষ না হ’লে মেয়ে মানুষের সাধন ভজন হবে না। সেই পুকষটিকে বলে “রাগকৃষ্ণ'। তিনবার জিজ্ঞাসা করে, কৃষ্ণ পেয়েছিস ? সে মেয়েমানুষটা তিনবার বলে, পেয়েছি । - “ভগি (ভগবতী ) শূদ্র, তেলি। সকলে গিয়ে তার পায়ের ধূলো • নিয়ে নমস্কার করত, তখন জমিদারের বড় রাগ হ'ল । আমি তাকে