পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য়-হারে তোর সে কৰ্ম্মটি আছে —আর আমি কেমন আছি – । আমার হরি নাই ! এই সব কথা । “দেখ দেখি ঠাকুর ঘরে পূজার সময় এই সব রাজ্যের কথাবার্তা " । মণি-আজ্ঞে, বেশির ভাগই এইরূপ। আপনি যেমন বলেন, ঈশ্বরে । যার অনুরাগ তার অধিক দিন কি পূজা সন্ধ্যা করতে হয় । চতুর্থ পরিচ্ছেদ 4. চিন্ময় রূপ কি—ব্রহ্মজ্ঞানের পর বিজ্ঞান— - प्रांशूद्ां दातु ঠাকুর মণির সহিত নিভৃতে কথা কহিতেছেন। . . . . . মণি-আজ্ঞে, তিনিই যদি সব হয়েছেন, এরূপ নানা ভাব কেন ? : ঐরামকৃষ্ণ-বিভুরূপে তিনি সৰ্ব্বভূতে আছেন, কিন্তু শক্তি । বিশেষ। কোনখানে বিদ্যাশক্তি, কোনখানে অবিদ্যা শক্তি, কোনখানে । বেশি শক্তি, কোনখানে কম শক্তি। দেখ না, মানুষের ভিতর ঠগ,. জুয়াচ্চোর আছে, আবার বাঘের মত ভয়ানক লোকও আছে । আমি বলি, ঠগ, নারায়ণ, বাঘ নারায়ণ । ... • মণি (সহাস্তে )—আজ্ঞা, তাদের দূর থেকে নমস্কার করতে হয়। বাঘ নারায়ণকে কাছে গিয়ে আলিঙ্গন করলে খেয়ে ফেলবে। শ্রীরামকৃষ্ণ—তিনি আর তার শক্তি, ব্রহ্ম আর শক্তি- বই আর কিছুই নাই। নারদ রামচন্দ্রকে স্তব করতে করতে বললেন, হে রাম তুমিই শিব, সীতা ভগবতী, তুমি ব্ৰহ্মা, সীতা ব্ৰহ্মাণী ; তুমি ইন্দ্র, সীতা ইন্দ্রাণী ; তুমিই নারায়ণ, সীতা লক্ষ্মী ; পুরুষ বাচক যা কিছু আছে সব তুমি, স্ত্রী-বাচক সব সীতা ।