পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশৰয়-অঙ্গিরে—মণিসঙ্গে बामगारणद्र गान సె\రి রজের খেলা ছিল দৌড়াদৌড়ি, এখন নদের খেলা ধলায় গড়াগড়ি। (হরিবোল বলে হে) (প্রেমে মত্ত হয়ে)। ছিল ব্রজের খেলা উচ্চরোল, আজ নদের খেলা কেবল হরিবোল (ওহে প্রাণ গৌর) । তোমার সকল অঙ্গ গেছে ঢাকা, কেবল আছে দটি নয়ন বাঁকা। (ওহে দয়াল গৌর)। তোমার পতিত পাবন নাম শনে, বড় ভরসা পেয়েছি মনে। (ওহে পতিতপাবন)। বড় আশা করে এলাম ধেয়ে, আমায় রাখ চরণ ছায়া দিয়ে। (ওহে দয়াল গেীর) । জগাই মাধাই তরে গেছে, প্রভু সেই ভরসা আমার আছে। (ওহে অধমতারণ)। তোমরা নাকি আচণ্ডালে দাও কোল, কোল দিয়ে বল হাঁরবোল! (ওহে পরম করণ) (ও কাঙ্গালের ঠাকুর) । [ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্তদের গোপনে সাধন] নহবৎখানার উপরের ঘরে মণি একাকী বসিয়া আছেন। অনেক রারি হইয়াছে। আজ অগ্রহায়ণ পণিমা। আকাশ, গঙ্গা, কালীবাড়ী, মন্দিরশীষ, উদ্যানপথ, পঞ্চবটী চাঁদের আলোতে ভাসিয়াছে! মণি একাকী ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে চিন্তা করিতেছেন। 帶 রাত প্রায় তিনটা হইল; তিনি উঠিলেন। উত্তরাস্য হইয়া পঞ্চবটীর অভিমুখে যাইতেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পঞ্চবটীর কথা বলিয়াছেন। আর নহবৎখানা ভাল লাগিতেছে না। তিনি পঞ্চবটীর ঘরে থাকিবেন, সিথর করিলেন। • চতুন্দিক নীরব। রাত এগারটার সময় জোয়ার আসিয়াছে। এক একবার জলের শব্দ শনা যাইতেছে। তিনি পঞ্চবটীর দিকে অগ্রসর হইতেছেন!— দর হইতে একটি শব্দ শনিতে পাইলেন। কে যেন পঞ্চবটীর ব্যক্ষমণ্ডপের ভিতর হইতে আতনাদ করিয়া ডাকিতেছেন, কোথায় দাদা মধ্যসদন । আজ পণিমা ; চতুদিকে বটবক্ষের শাখাপ্রশাখার মধ্য দিয়া চাঁদের আলো ফাটিয়া পড়িতেছে। ● আরও অগ্রসর হইলেন। একট দরে হইতে দেখিলেন পঞ্চবটী মধ্যে ঠাকুরের একটি ভক্ত বসিয়া আছেন। তিনিই নিজনে একাকী ডাকিতেছেন, কোথায় দাদা মধ্যসদন। মণি নিঃশব্দে দেখিতেছেন।