পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়োদশ খণ্ড দক্ষিণেশৰরে প্রাণকৃষ্ণ, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে टाँधञ प्रिब्रट्झन শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্গে প্রাণকৃষ্ণ, মাস্টার, রাম, গিরীন্দ্র, গোপাল আজ শনিবার, ২৪শে চৈত্র, ইং ৫ই এপ্রিল ১৮৮৪ খৃস্টাব্দ প্রাতঃকাল বেলা আটটা। মাস্টার দক্ষিণেশ্বরে উপসিথত হইয়া দেখেন, শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যবদন, কক্ষমধ্যে ছোট খাটটির উপরে উপবিট। মেজেতে কয়েকটি ভক্ত বসিয়া আছেন; তন্মধ্যে প্রাণকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়। প্রাণকৃষ্ণ জনাইয়ের মখায্যেদের বংশসম্প্রস্তুত। কলিকাতায় শ্যামপুকুরে বাড়ী। ম্যাকেঞ্জি লায়ালের একসচেঞ্জ নামক নিলাম ঘরের কাযাধ্যক্ষ। তিনি গহপথ, কিন্তু বেদান্তচর্চায় বড় প্রীতি। পরমহংসদেবকে বড় ভক্তি করেন ও মাঝে মাঝে আসিয়া দশন করেন। ইতিমধ্যে একদিন নিজের বাড়ীতে ঠাকুরকে লইয়া গিয়া মহোৎসব করিয়াছিলেন। তিনি বাগবাজারের ঘাটে প্রত্যহ প্রত্যুষে গঙ্গাস্নান করিতেন ও নৌকা সুবিধা হইলেই একেবারে দক্ষিণেশ্বরে আসিয়া ঠাকুরকে দশন করিতেন। আজ এইরুপ নৌকা ভাড়া করিয়াছিলেন। নৌকা কল হইতে একটা অগ্রসর হইলেই ঢেউ হইতে লাগিল। মাল্টার বলিলেন, আমায় নামাইয়া দিতে হইবে। প্রাণকৃষ্ণ ও তাঁহার বন্ধ অনেক বুঝাইতে লাগিলেন, কিন্তু তিনি কোন মতে শুনিলেন না ; বলিলেন “আমায় নামাইয়া দিতে হইবে, আমি হোটে দক্ষিণেশবরে যাব।” অগত্যা প্রাণকৃষ্ণ তাঁহাকে নামাইয়া দিলেন । o মাস্টার পেশছিয়া দেখেন যে, তাঁহারা কিয়ৎক্ষণ পাবে পেপছিয়াছেন ও ঠাকুরের সঙ্গে সদালাপ করিতেছেন। ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিয়া তিনি একপাশে বসিলেন। [www.rssso-Humanity and Divinity of Incarnation] স্ত্রীরামকৃষ্ণ প্রোণকৃষ্ণের প্রতি)–কিন্তু মানষে তিনি বেশী প্রকাশ। যদি বল অবতার কেমন করে হবে, যাঁর ক্ষুধা তৃষ্ণা এই সব জীবের ধর্ম অনেক আছে, হয় ত রোগশোকও আছে; তার উত্তর এই ষে, “পঞ্চভূতের ফাঁদে ব্ৰহ্ম পড়ে কাঁদে।” “দেখ না রামচন্দ্র সীতার শোকে কাতর হয়ে কাঁদতে লাগলেন। আবার হিরণ্যাক্ষ বধ করবার জন্য বরাহ অবতার হলেন। হিরণ্যাক্ষ বধ হ’লো, কিন্তু