পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नीचटनथ्वब्र-बाँक्रट्द्र-थाणङ्कटकङ्ग প্রতুি উপদেশ-বেদান্ত షిఫి কখনও ছলরপে—কোথাও বা খলর পে। তাই বলি, সাধারাপ নারায়ণ, ছলরাপ নারায়ণ, খলরাপ নারায়ণ, লক্ষেরপ নারায়ণ। Q “এখন ভাবনা হয়, সবাইকে খাওয়ান কেমন করে হয় । সবাইকে খাওয়াতে ইচ্ছা করে। তাই একজনকে এখানে রেখে খাওয়াই ।” প্রাণকৃষ্ণ (মাস্টার দলেট, সহস্যে)–আচ্ছা লোক! (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি) মহাশয়, নৌকা থেকে নেমে তবে ছাড়লেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে)—কি হয়েছিল ? প্রাণকৃষ্ণ-নৌকায় উঠেছিলেন। একটা ঢেউ দেখে বলেন, নামিয়ে দাও— (মাস্টারের প্রতি) কিসে করে এলেন ? মাল্টার (সহাসো)—সুহটে। ঠাকুর হাসিতে লাগিলেন। [সংসারী লোকের বিষয়কম ত্যাগ করা কঠিন—পণ্ডিত ও বিৰেক] প্রাণকৃষ্ণ (ঠাকুরের প্রতি)—মহাশয়! এইবার মনে করছি কম ছেড়ে দিব। কম করতে গেলে আর কিছ হয় না। (সঙ্গী বাবকে দেখাইয়া) একে কাজ শেখাচ্ছি, আমি ছেড়ে দিলে ইনি কাজ করবেন। আর পারা যায় না। শ্রীরামকৃষ্ণ–হাঁ, বড় ঝঞ্জাট। এখন দিনকতক নিজনে ঈশ্ববরচিন্তা করা খুব ভাল। কিন্তু বলছো বটে ছাড়বে। কাপেতনও ঐ কথা বলেছিল। সংসারী লোকেরা বলে, কিন্তু পেরে উঠে না। “অনেক পণ্ডিত আছে, কত জ্ঞানের কথা বলে। মুখেই বলে, কাজে কিছুই নয়। যেমন শকুনি খুব উচুতে উঠে; কিন্তু ভাগাড়ের দিকে নজর; অর্থাৎ সেই কামিনী কাঞ্চনের উপর—সংসারের উপর আসক্তি। যদি শনি, পণ্ডিতের বিবেক বৈরাগ্য আছে, তবে ভুয় হয় ; তা না হলে কুকুর ছাগল জ্ঞান হয়।” • প্রাণকৃষ্ণ প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন ও মাস্টারকে বলিলেন, আপনি যাবেন ? মাস্টার বলিলেন, না, আপনারা আসন। প্রাণকৃষ্ণ হাসিতেছেন ও বলিলেন, আর তুমি যাও! (সকলের হাস্য)। মাস্টার পঞ্চবটীর কাছে একট বেড়াইয়া ঠাকুর যে ঘাটে স্নান করিতেন, সেই ঘাটে সনান করিলেন। তৎপরে "ভবতারিণী ও রাধাকান্ত দশন ও প্রণাম করিলেন। ভাবিতেছেন, শনিয়াছিলাম ঈশবর নিরাকার তবে এই প্রতিমার সম্মখে কেন প্রণাম? ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সাকার দেবদেবী মানেন, এই জন্য? আমি ত ঈশ্বর সম্বন্ধে কিছ জানি না, বুঝি না। ঠাকুর যেকালে মানেন আমি কোন ছার, মানিতেই হইবে! মাস্টার ভবতারিণীকে দশন করিতেছেন। দেখিলেন—বামহস্তদ্বয়ে নরমণ্ড ও অসি, দক্ষিণহস্তদ্বয়ে বরাভয়। একদিকে ভয়ঙ্করা আর একদিকে মা ভক্তবৎসলা। দুইটি ভাবের সমাবেশ। ভক্তের কাছে, তাঁর দীনহীন জীবের