পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ ♚ौघैौब्रामकूककथाभङ-२ब्र छाग [ ১৮৮২, ১৬ই অক্টোবর সাধ দেখতে যাবো। তুমি যাবে! হলধারী বললে, একটা মাটির খাঁচা দেখতে গিয়ে কি হবে? হলধারী গীতা বেদান্ত পড়ে কি না! তাই সাধকে বললে মাটির খাঁচা।” কৃষ্ণকিশোরকে গিয়ে আমি ঐ কথা বললাম। সে মহা রেগে গেল। আর বললে, “কি ! হলধারী এমন কথা বলেছে ? যে ঈশ্বর চিন্তা করে, রাম চিন্তা করে, আর সেইজন্য সবত্যাগ করেছে, তার দেহ মাটির খাঁচা! সে জানে না যে ভক্তের দেহ চিন্ময়। এত রাগ—কালীবাড়ীতে ফল তুলতে আসতো, হলধারীর সঙ্গে দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নিত! কথা কইবে না !" . “আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন ? যখন আমার এই অবস্থা হলো, তখন আশিবনের ঝড়ের মত একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছই রইল না। হ:শ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে তা’ পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ হয়, তাহলে তুমি বোঝ! “তাই হলো! তার নিজেরই উন্মাদ হ’ল। তখন সে কেবল 'ওঁ ওঁ ব’লতো আর এক ঘরে চুপ করে বসে থাকতো। সকলে মাথা গরম হয়েছে বলে কবিরাজ ডাকলে। নাটাগড়ের রাম কবিরাজ এলো। কৃষ্ণকিশোর তাকে বললে, ওগো আমার রোগ আরাম করো, কিন্তু দেখো, যেন আমার ওঁকারটি আরাম করো না! (সকলের হাস্য)। “একদিন গিয়ে দেখি, বসে ভাবছে। জিজ্ঞাসা করলাম, কি হয়েছে ? বললে টেক্সওয়ালা এসেছিল,—তাই ভাবছি। বলেছে টাকা না দিলে ঘটি-বাটি বেচে লবে। আমি বললাম, কি হবে ভেবে A না হয় ঘটি-বাটি লয়ে যাবে। বেধে লয়ে যায়, তোমাকে ত লয়ে যেতে পারবে না। তুমি ত ‘খ’ গো ! (নরেন্দ্রাদির হাস্য)। কৃষ্ণকিশোর বলতো, আমি আকাশবৎ । অধ্যাত্ম পড়তো কি না! মাঝে মাঝে তুমি খ’ বলে, ঠাট্টা করতাম। হেসে বললুম, “তুমি খ'; টেক্স তোমাকে ত টানতে পারবে না। “উন্মাদ অবস্থায় লোককে ঠিক ঠিক কথা, হক কথা, ব’লতুম! কারকে মানতাম না। বড়লোক দেখলে ভয় হতো না। “ষদ মল্লিকের বাগানে যতীন্দ্র এসেছিল। আমিও সেখানে ছিলাম। আমি তাকে বললাম—কতব্য কি ? ঈশ্বর চিন্তা করাই আমাদের কতব্য কি না ? যতীন্দ্র বললে, “আমরা সংসারী লোক। আমাদের কি আর মুক্তি আছে! রাজা যুধিষ্ঠিরই নরক দশন করেছিলেন!' তখন আমার বড় রাগ হলো। বললাম ‘তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরক-দশনই মনে করে রেখেছ? যুধিষ্ঠিরের সত্য কথা, ক্ষমা, ধৈৰ্য্য বিবেক, বৈরাগ্য; ঈশ্বরে ভক্তি এ সব কিছ মনে হয় না! আরও কত কি বলতে যাচ্ছিলাম। হৃদে আমার মুখ চেপে ধরলে! যতীন্দ্র একটা পরেই আমার একটা কাজ আছে বলে চলে গেল।