পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कचिरपथ्वत्र-अग्निब-गकबल्लेबष्ण द्वैब्रामक्क ठ नवौ छोथबानौ गर्छ s४१ ডাকাতটি দন্ট লোকদের কাছ থেকে টাকাকড়ি কেড়ে এনে গরীব-দুঃখীদের খাওয়াতো—তাদের দান করতো। প্রফুল্লকে বলেছিল, আমি দলটের দমন, শিটের পালন করি। শ্রীরামকৃষ্ণ—ও ত রাজার কতব্য। মাল্টার—আর এক জায়গায় ভক্তির কথা আছে। ভবানীঠাকুর প্রফুল্লর কাছে থাকবার জন্য একটি মেয়েকে পাঠিয়ে দিছলেন। তার নাম নিশি । সে মেয়েটি বড় ভক্তিমতী। সে বলতো, শ্ৰীকৃষ্ণ আমার স্বামী। প্রফুল্লর বিয়ে হয়েছিল। প্রফুল্লর বাপ ছিল না, মা ছিল। মিছে একটা বদনাম তুলে পাড়ার লোকে ওদের একঘরে করে দিছল। তাই শবশর প্রফুল্লকে বাড়ীতে নিয়ে যায় নাই। ছেলের আরও দটি বিয়ে দিছল। প্রফুল্লর কিন্তু স্বামীর উপর বড় ভালবাসা ছিল। এইখানটা শনলে বেশ বঝেতে পারা যাবে— “নিশি—আমি তাঁহার (ভবানী ঠাকুরের) কন্যা, তিনি আমার পিতা। তিনিও আমাকে এক প্রকার সম্প্রদান করিয়াছেন। প্রফুল্ল—এক প্রকার কি ? নিশি–সবসব শ্রীকৃষ্ণে । প্রফুল্ল—সে কি রকম ? নিশি–রপ, যৌবন, প্রাণ। প্রফুল্ল—তিনিই তোমার স্বামী ? নিশি–হাঁ—কেন না, যিনি সপণেরপে আমাতে অধিকারী, তিনিই আমার স্বামী। প্রফুল্ল দীঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল, “বলিতে পারি না। কখন স্বামী দেখ নাই, তাই বলিতেছ—স্বামী দেখিলে কখন শ্রীকৃষ্ণে মন উঠিত না।” মখে ব্ৰজেশ্বর প্রেফল্লের স্বামী)-এত জানিত না! বয়স্যা বলিল, ‘শ্রীকৃষ্ণে সকল মেয়েরই মন উঠিতে পারে ; কেন না, তাঁর ‘ রপ অনন্ত, যৌবন অনন্ত, ঐশ্বয অনন্ত, গণ অনন্ত। এ যাবতী ভবানী ঠাকুরের চেলা, কিন্তু প্রফুল্ল নিরক্ষর—এ কথার উত্তর দিতে পরিল না। হিন্দধম প্রণেতারা উত্তর জানিতেন। ঈশ্বর অনন্ত জানি। কিন্তু অনন্তকে ক্ষদ্র হৃদয় পিঞ্জরে পরিতে পারি না, কিন্তু সাতকে পারি। তাই অনন্ত জগদীশ্বর হিন্দরে হৃৎপিঞ্জরে সান্ত শ্ৰীকৃষ্ণ। স্বামী আরও পরিকাররপে সান্ত। এই জন্য প্রেম পবিত্র হইলে স্বামী ঈশ্বরে আরোহণের প্রথম সোপান। তাই হিন্দু-মেয়ের পতিই দেবতা। অন্য সব সমাজ, হিন্দ সমাজের কাছে এ অংশে নিকৃষ্ট। - প্রফুল্ল মাখ মেয়ে, কিছল বুঝিতে পারিল না। বলিল, “আমি অত কথা ভাই বুঝিতে পারি না। তোমার নামটি কি, এখনও ত’ বলিলে না ?’