পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कर्गजाकाङा, नाभन्एकूद्र-झाः जब्रकान्न शकृऊि नटण्ग ২২১ ঠাকুর প্রকৃতিপথ হইয়াছেন। মণি কাছে বসিয়া আছেন, তাঁহাকে একান্তে বলিতেছেন—“দেখ, অখণ্ডে মন লীন হয়ে গিছিল! তারপর দেখলাম—সে অনেক কথা। ডাক্তারকে দেখলাম, ওর হবে—কিছুদিন পরে ;–আর বেশী ওকে বলতে টলতে হবে না। আর একজনকে দেখলাম। মন থেকে উঠল "তাকেও নাও"। তার কথা পরে তোমায় বলবো । [ সংসারী জীবকে নানা উপদেশ ] শ্রীযুক্ত শ্যাম বসু ও দোকড়ি ডাক্তার ও আরো দল একটি লোক আসিয়াছেন। এইবার তাহাদের সহিত কথা কহিতেছেন। শ্যাম বস—েআহা, সেদিন সেই কথাটি যা বলেছিলেন, কি চমৎকার। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে)—কি কথাটি গা ? শ্যাম বস—েসেই যে বললেন, জ্ঞান অজ্ঞানের পারে গেলে কি থাকে। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে)—বিজ্ঞান। নানা জ্ঞানের নাম অজ্ঞান। সবভূতে ঈশ্বর আছেন, এর নাম জ্ঞান। বিশেষরপে জানার নাম বিজ্ঞান। ঈশ্ববরের সহিত আলাপ, তাতে আত্মীয়বোধ, এর নাম বিজ্ঞান। “কাঠে আগন আছে, অগ্নিতত্ত্ব আছে ; এর নাম জ্ঞান। সেই কাঠ জবালিয়ে ভাত রোধে খাওয়া ও খেয়ে হল্ট পাট হওয়ার নাম বিজ্ঞান।” শ্যাম বস (সহাস্যে)—আর সেই কাঁটার কথা! শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে)–হাঁ, যেমন পায়ে কাঁটা ফ'টলে আর একটি কাঁটা আহরণ করতে হয়; তার পর পায়ের কাঁটাটি তুলে দটি কাঁটা ফেলে দেয়। তেমনি অজ্ঞানকাঁটা তুলবার জন্য জ্ঞানকাঁটা জোগাড় করতে হয়। অজ্ঞান নাশের পর জ্ঞান অজ্ঞান দুই-ই ফেলে দিতে হয়শ তখন বিজ্ঞান। ঠাকুর শ্যাম বসর উপর প্রসন্ন হইয়াছেন। শ্যাম বসর বয়স হইয়াছে, এখন ইচ্ছা—কিছুদিন ঈশ্ববরচিন্তা করেন। পরমহংসদেবের নাম শুনিয়া এখানে আসিয়াছেন। ইতিপবে আর একদিন আসিয়াছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (শ্যাম বসর প্রতি)—বিষয়ের কথা একেবারে ছেড়ে দেবে। ঈশ্বরীয় কথা বই অন্য কোনও কথা বলো না। বিষয়ী লোক দেখলে আসতে আসতে সরে যাবে। এতদিন সংসার করে তো দেখলে সব ফক্কাবাজী ! ঈশ্ববরই বস্তু আর সব অবস্তু। ঈশ্বরই সত্য, আর সব দুদিনের জন্য। সংসারে আছে কি ? আমড়ার অন্বল; খেতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু আমড়াতে আছে কি ? অাঁটি আর চামড়া খেলে অম্বলশাল হয়। • শ্যাম বস—েআজ্ঞা হাঁ; যা বলছেন সবই সত্য। শ্রীরামকৃষ্ণ—অনেক দিন ধরে অনেক বিষয়কম করেছ, এখন গোলমালে ধ্যান ঈশবরচিন্তা হবে না। একটা নিজন দরকার। নিজন না হলে মন সিথর হবে না। তাই বাড়ী থেকে আধপো অন্তরে ধ্যানের জায়গা করতে হয়।