পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृंब्रिश्रिष्प्ने 2थञ श्रृब्रिट्झन শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম মঠ ও নরেন্দ্রাদির সাধনা ও তীব্র বৈরাগ্য আজ বৈশাখী পণিমা। ৭ই মে, ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দ। শনিবার অপরাহ্ন। নরেন্দ্র মাল্টারের সহিত কথা কহিতেছেন। কলিকাতা গরপ্রেসাদ চৌধুরী লেনে, একটি বাড়ীর নীচের ঘরে, তক্তাপোশের উপর উভয়ে বসিয়া আছেন। afe C# TA °RFT"LT FTR i Merchant of Venice, Comus, Blackie’s self-culture aề HỌ që ofņWSTER I ofŲI ČSRITH FfÆTSZER I স্কুলে পড়াইতে হইবে। কয়মাস হইল, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তদের অকুল পাথারে ভাসাইয়া সবধামে চলিয়া গিয়াছেন। অবিবাহিত ও বিবাহিত ভক্তেরা ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সেবাকালে যে স্নেহসাত্রে বাঁধা হইয়াছেন তাঁহা আর ছিন্ন হইবার নহে। হঠাৎ কর্ণধারের অদশনে আরোহিগণ ভয় পাইয়াছেন বটে, কিন্তু সকলেই যে একপ্রাণ, পরস্পরের মুখ চাহিয়া রহিয়াছেন। এখন পরস্পরকে না দেখিলে আর তাঁহারা বাঁচেন না। অন্য লোকের সঙ্গে আলাপ আর ভাল লাগে না। তাঁহার কথা বই আর কিছ ভাল লাগে না। সকলে ভাবেন, তাঁকে কি আর দেখতে পাব না ? তিনি ত বলে গেছেন, ব্যাকুল হয়ে ডাকলে আন্তরিক ডাক শনলে ঈশ্বর দেখা দেবেন। বলে গেছেন, আন্তরিক হলে তিনি শন বেনই শনবেন। যখন নিজনে থাকেন, তখন সেই আনন্দময় মতি মনে পড়ে। রাস্তায় চলেন, উদ্দেশ্যহীন, একাকী কে’দে কে’দে বেড়ান। ঠাকুর তাই বুঝি মণিকে বলেছিলেন, “তোমরা রাস্তায় কে’দে কে’দে বেড়াবে, তাই শরীর ত্যাগ করতে একটা ' কট হচ্ছে r কেউ ভাবছেন, কই তিনি চলে গেলেন, আমি এখনও বেচে রইছি। এই অনিত্য সংসারে এখনও থাকতে ইচ্ছা! নিজে মনে করলে ত শরীর ত্যাগ করতে পারি, তা কই করছি! ছোকরা ভক্তেরা কাশীপুরের বাগানে থাকিয়া রাত্রি দিন সেবা করিয়াছিলেন। তাঁহার অদশনের পর অনিচ্ছাসত্ত্বেও কলের পত্তেলিকার ন্যায় নিজের নিজের বাড়ী ফিরিয়া গেলেন। ঠাকুর কাহাকেও সন্ন্যাসীর বাহ্য চিহ্ন (গেরয়া বসন্ত ইত্যাদি) ধারণ করিতে অথবা গহীর উপাধি ত্যাগ করিতে অনুরোধ করেন নাই। তাঁহারা লোকের কাছে দত্ত, ঘোষ, চক্লবতীর্ণ, ঘোষাল ইত্যাদি উপাধিযন্ত হইয়া পরিচয়, ঠাকুরের অদর্শনের পরও কিছুদিন দিয়াছিলেন। কিন্তু ঠাকুর তাঁহাদের অন্তরে ত্যাগী করিয়া গিয়াছিলেন।