পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় খণ্ড ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে—শ্ৰীযন্ত অধর ट्जद्दनन्त्र ण्बिज्रीम्न नभनि প্রথম পরিচ্ছেদ अर्माणलाढा ७ काश्रीमश्रनि আইস ভাই, আজ আবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে দক্ষিণেশ্ববরের মন্দিরে দশন করিতে যাই। তিনি ভক্তসঙ্গে কিরুপ বিলাস করিতেছেন, ঈশ্বরের ভাবে সৰ্ব্বদা কিরুপ সমাধিস্থ আছেন দেখিব। কখনও সমাধিস্থ, কখনও কীত্তনানন্দে মাতোয়ারা আবার কখন বা প্রকৃত লোকের ন্যায় ভক্তের সহিত কথা কহিতেছেন, দেখিব। শ্ৰীমন্খে ঈশ্ববর-কথা বই আর কিছুই নাই; মন সবাদা অন্তমখে, ব্যবহার পশ্চমবষণীয় বালকের ন্যায়। প্রতি নিশবাসের সহিত মায়ের নাম করিতেছেন। একেবারে অভিমানশন্য পঞ্চমবষণীয় বালকের ন্যায় ব্যবহার । পঞ্চমবষণীয় বালক বিষয়ে আসক্তিশন, সদানন্দ, সরল ও উদার প্রকৃতি। এক কথা, ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য: দই দিনের জন্য। চল, সেই প্রেমোন্মত্ত বালককে দেখিতে যাই। মহাযোগী ! অনন্ত সাগরের তীরে একাকী বিচরণ করিতেছেন। সেই অনন্ত সচ্চিদানন্দ সাগরমধ্যে কি যেন দুেখিতেছেন। দেখিয়া প্রেমে উন্মত্ত হইয়া বেড়াইতেছেন! আজ চৈত্র মাসের শুক্লা” প্রতিপদ তিথি, রবিবার। গতকল্য শনিবার অমাবস্যাতে ঠাকুর বলরামের বাড়ীতে গিয়াছিলেন। অমাবস্যা; নিবিড় অাঁধার মধ্যে একাকী মহাকালী; মহাকালের সহিত রমণ করিতেছেন। তাই ঠাকুর অমাবস্যাতে আর সিথর থাকিতে পারেন না। তাই বালকের অবস্থা। যিনি মাকে অহনিশি দেখিতেছেন, আর যার ‘মা’ না হ’লে চলে না, তিনি বালক । আজ রবিবার, ৮ই এপ্রিল, ১৮৮৩ খৃস্টাব্দ, ২৬শে চৈত্র, প্রাতঃকাল। এই যে ঠাকুর বালকের ন্যায় বসিয়া আছেন। কাছে বসিয়া একটি ছোকরা ভক্ত রাখাল । মাল্টার আসিয়া ভূমিঠে হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুরের ভ্রাতুষ্পপত্র রামলাল আছেন, কিশোরী ও আরও কয়েকটি ভক্ত আসিয়া জটিলেন। পরাতন ব্রাহ্মভক্ত শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিক আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে প্রণাম করিলেন । মণি মল্লিক কাশীধামে গিয়াছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী লোক, কাশীতে তাঁহাদের কুঠি আছে।