পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さビ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামত—২য় ভাঙ্গু [ ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল নিমন্ত্ৰণ করিয়া থাকেন। মণিলালের বরাহনগরে একখানি বাগান আছে। সেখানে তিনি প্রায় একাকী আসিয়া থাকেন, ও সেই সঙ্গে ঠাকুরকে দশন করিয়া যান। মণিলাল যথার্থ হিসাবী লোক বটে ! সমস্ত গাড়ীভাড়া করিয়া বরাহনগরে প্রায় আসেন না; ট্রামে চাপিয়া প্রথমে শোভাবাজারে আসেন, সেখানে শেয়ারের গাড়ীতে চাপিয়া বরাহনগর আসেন। অথের অভাব নাই ; কয়েক বৎসর পরে গরীব ছাত্রদের ভরণপোষণের জন্য এককালে প্রায় পাঁচশ হাজার টাকা বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছিলেন। মণুিলাল চুপ করিয়া রহিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে এ কথা ও কথার পর, কথার পিঠে বলিলেন,–“মহাশয় পাকরিণীর কথা বলছিলেন। তা বললেই হয়, তা আবার তেলি ফেলি বলা কেন ?” مي" ভক্তেরা কেহ কেহ মুখ টিপিয়া হাসিতেছেন। ঠাকুরও হাসিতেছেন। তৃতীয় পরিচ্ছেদ দক্ষিণেশ্ববরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব কিয়ৎক্ষণ পরে কলিকাতা হইতে কয়েকটি পরাতন ব্রাহ্মভক্ত আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তন্মধ্যে একজন,—শ্ৰীযুক্ত ঠাকুরদাস সেন। ঘরে অনেকগুলি ভক্তের সমাগম হইয়াছে। ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। সহস্যবদন, বালকমাত্তি। উত্তরাস্য হইয়া বসিয়াছেন। ব্রাহ্মভক্তদের সঙ্গে আনন্দে আলাপ করিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (ব্রাহ্ম ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—তোমরা প্যাম’ ‘প্যাম' কর; কিন্তু প্রেম কি সামান্য জিনিস গা ? চৈতন্যদেবের প্রেম হয়েছিল। প্রেমের দটি লক্ষণ। প্রথম—জগৎ ভুল হয়ে যাবে। এত ঈশ্বরেতে ভালবাসা যে বাহ্যশন্যে। চৈতন্যদেব বন দেখে বন্দাবন ভাবে, সমদ্র দেখে শ্ৰীধমনা ভাবে।’ “দ্বিতীয় লক্ষণ--নিজের দেহ যে এত প্রিয় জিনিস, এর উপরও মমতা থাকবে না, দেহাত্মবোধ একেবারে চলে যাবে। “ঈশ্ববর দশন না হলে প্রেম হয় না। “ঈশ্বর লাভের কতকগুলি লক্ষণ আছে। যার ভিতর অন্যরাগের ঐশ্বয* প্রকাশ হচ্চে তার ঈশ্ববরলাভের আর দেরি নাই। “অন্যরাগের ঐখবয কি কি ? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া, সাধ্যসেবা, সাধনসঙ্গ, ঈশ্বরের নাম-গুণ কীৰ্ত্তন, সত্য কথা এই সব। “এই সকল অনরোগের লক্ষণ দেখলে ঠিক বলতে পারা যায় ঈশ্বর দশনের আর দেরি নাই। বাবা কোনও খানসামার বাড়ী যাবেন, এরপে যদি ঠিক হয়ে থাকে, খানসামার বাড়ীর অবস্থা দেখে ঠিক বুঝতে পারা যায়!