পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गर्याकट्षथ्वब्र-अन्क्टिब्र–आँषणाणान छद्वप्रिक्भटक फेन्टक्ष ළු L “আবার আছে অনুরাগ অঞ্জন"। শ্রীমতী বলছেন, সখী চতুদিক কৃষ্ণময় দেখছি! তারা বললে, “সখী অনুরাগ-অঞ্জন চোখে দিয়েছ তাই ঐরাপ দেখছো। এরপ আছে যে, ব্যাঙের মন্ডু পড়িয়ে কাজল তৈয়ার করে, সেই কাজল চোখে দিলে চারিদিক সপাময় দেখে! “যারা কেবল কামিনীকাঞ্চন নিয়ে আছে—ঈশ্বরকে একবারও ভাবে না, তারা বন্ধজীব। তাদের নিয়ে কি মহৎ কাজ হবে? যেমন কাকে ঠোকরান আম, ঠাকুর সেবায় লাগে না, নিজের খেতেও সন্দেহ। “বন্ধজীব-সংসারী জীব, এরা যেমন গটীপোকা। মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে ; কিন্তু নিজে ঘর বানিয়েছে, ছেড়ে আসতে মায়া হয়। শেষে মৃত্যু। “যারা মুক্ত জীব, তারা কামিনীকাঞ্চনের বশ নয়। কোন কোন গটীপোকা অত যত্নের গাটী কেটে বেরিয়ে আসে। সে কিন্তু দ একটা। “মায়াতে ভুলিয়ে রাখে। দু-একজনের জ্ঞান হয় ; তারা মায়ার ভেলকিতে ভোলে না ; কামিনীকাঞ্চনের বশ হয় না। অতুির ঘরের ধলহাঁড়ির খোলা যে পায়ে পরে, তার বাজিকরের ড্যাম ড্যাম শব্দের ভেলকি লাগে না। বাজিকর কি করছে সে ঠিক দেখতে পায়। r “সাধনসিদ্ধ ও কৃপাসিন্ধ। কেউ কেউ অনেক কটে ক্ষেত্রে জল ছে"চে আনে ; আনতে পারলে ফসল হয়। কার্য জল ছে’চতে হলো না ব্যটির জলে ভেসে গেল। কট করে জল আনতে হলো না। এই মায়ার হাতু থেকে এড়াতে গেলে কট করে সাধন করতে হয়। কৃপাসিদ্ধের কাট করতে হয় না! সে কিন্তু দ এক জনা । “আর নিত্যসিদ্ধ, এদের জন্মে জন্মে জ্ঞান চৈতন্য হয়ে আছে। যেমন ফোয়ারা বজে আছে। মিস্ত্রী এটা খলতে ওটা খলতে ফোয়ারাটাও খালে মদলে, আর ফর ফর করে জল বেরতে লাগল! নিত্য সিদ্ধের প্রথম অনুরাগ যখন লোকে দেখে, তখন অবাক হয়। বলে এত ভক্তি বৈরাগ্য প্রেম কোথায় ছিল।” ঠাকুর অন্যরাগের কথা বলিতেছেন। গোপীদের অন্যরাগের কথা। আবার গান হইতে লাগিল। রামলাল গাহিতেছেন— নাথ! তুমি সৰস্ব আমার। প্রাণাধার সারাৎসার ; নাহি তোমা বিনে কেহ ত্রিভুবনে, বলিরার আপনার ॥ তুমি সুখ শান্তি, সহায় সম্ববল, সম্পদ ঐশ্বয, জ্ঞান বৃদ্ধি বল, তুমি বাসগৃহ আরামের স্থল, আত্মীয় বন্ধ পরিবার। তুমি ইহকাল, তুমি পরিত্রাণ, তুমি পরকাল, তুমি সবগ ধাম, তুমি শাস্ত্রবিধি গরে কল্পতর, অনন্ত সখের আধার। ২য়—৩