পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बष्ठे नब्रिटष्कून অধরের প্রতি উপদেশ—সম্মুখে কাল ঠাকুর অধরের সঙ্গে তাঁর ঘরের উত্তরের বারান্দায় দাঁড়াইয়া কথা কহিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (অধরের প্রতি)—তুমি ডিপুটি। এ পদও ঈশ্বরের অনগ্রহে হয়েছে। তাঁকে ভুলো না। কিন্তু জেনো, সকলের এক পথে যেতে হবে।* এখানে দুদিনের জন্য। “সংসার কমভূমি। এখানে কম করতে আসা। যেমন দেশে বাড়ী, কলকাতায় গিয়ে কম করে। “কিছল কম করা দরকার। সাধন। তাড়াতাড়ি কম গলি শেষ করে নিতে হয়। স্যাকরারা সোনা গলাবার সময় হাপর, পাখা, চোঙ সব দিয়ে হাওয়া করে যাতে আগনটা খুব হয়ে সোনাটা গলে। সোনা গলার পর তখন বলে, তামাক সাজ। এতক্ষণ কপাল দিয়ে ঘাম পড়ছিল। তারপর তামাক খাবে। “খব রোক চাই। তবে সাধন হয়। দঢ় প্রতিজ্ঞা। “তাঁর নাম বীজের খুব শক্তি। অবিদ্যা নাশ করে। বীজ এত কোমল, অঙ্কুর এত কোমল ; তব শক্ত মাটি ভেদ করে। মাটি ফেটে যায়। “কামিনীকাঞ্চনের ভিতর থাকলে মন বড় টেনে লয়। সাবধানে থাকতে হয়। ত্যাগীদের অত ভয় নাই। ঠিক ঠিক ত্যাগী কামিনী-কাঞ্চন থেকে তফাতে থাকে। তাই সাধন থাকলে ঈশ্বরে মন রাখতে পারে। “ঠিক ঠিক ত্যাগী। যারা সবাদা ঈশ্বরে মন দিতে পারে, তারা মৌমাছির মত কেবল ফলে বসে, মধ্য পান করে। সংসারে কামিনী-কাঞ্চনের ভিতরে • যে আছে, তার ঈশ্বরে মন হতে পারে ; আবার কখন কখন কামিনীকাণ্ডনেও মন হয়। যেমন সাধারণ মাছি সন্দেশেও বসে আর পচা ঘায়েও বসে ; বিষ্ঠাতেও বসে । “ঈশ্বরেতে সবদা মন রাখবে। প্রথমে একটা খেটে নিতে হয়। তার পর পেন্সান ভোগ করবে।”

  • শ্ৰীযন্ত অধরচন্দ্র সেন দেড় বৎসর পরে দেহত্যাগ করেন। ঠাকুর ঐ সংবাদ শুনিয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া মার কাছে কাঁদিয়াছিলেন। অধর ঠাকুরের পরম ভক্ত। ঠাকুর বলেছিলেন, তুমি আমার আত্মীয়। অধরের বাড়ী কলিকাতা, শোভাবাজার, বেণেটোলা। তাঁহার কয়েকটি কন্যাসন্তান এখন বৰ্ত্তমান। কলিকাতার বাটীতে শ্ৰীযন্ত শ্যামলাল, শ্ৰীযন্ত হীরালাল প্রভূতি ভ্রাতারা কেহ কেহ এখনও আছেন। তাঁহাদের বাটীর বৈঠকখানা ও ঠাকুরদালান তীথ হইয়া আছে।