পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ খণ্ড ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সমরেন্দ্রভবনে উৎসবমন্দিরে टाँधञ प्रिब्रटझन শ্রীশ্রীঅন্নপশোঁ পজো উপলক্ষ্যে ভক্তসঙ্গে সরেন্দ্রভবনে সরেন্দ্রের বাড়ীর উঠানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সভা আলো করিয়া বসিয়া আছেন, অপরাহ্ল বেলা ছয়টা হইল। উঠান হইতে পবর্ণস্য হইয়া ঠাকুরদালানে উঠিতে হয়। দালানের ভিতর সন্দের ঠাকুর প্রতিমা। মার পাদপদ্মে জবা, বিলব, গলায় পাপমালা। মাও ঠাকুরদালান আলো করিয়া বসিয়া আছেন। আজ শ্রীশ্রীঅন্নপ্রণাপজো। চৈত্র শক্লোস্টমী, ১৫ই এপ্রিল, ১৮৮৩ রবিবার, (৩রা বৈশাখ ১২৯o) । সুরেন্দ্র মায়ের পজো আনিয়াছেন তাই ঠাকুরের নিমন্ত্রণ। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে আসিয়াছেন, আসিয়া ঠাকুরদালানে উঠিয়া শ্ৰীশ্ৰীঠকুরপ্রতিমা দশন করিলেন, প্রণাম ও দর্শনানন্তর দাঁড়াইয়া মার দিকে তাকাইয়া শ্রীকরে মলমন্ত্র জপ করিতেছেন, ভক্তেরা শ্ৰীশ্ৰীঠাকুরপ্রতিমা দশন ও প্রণামানন্তর প্রভুর কাছে দাঁড়াইয়া আছেন। উঠানে ঠাকুর ভক্তসঙ্গে আসিয়াছেন। উঠানে শতরঞ্জি পাতা হইয়াছে, তাহার উপর চাদর, তাহার উপর কয়েকটি তাকিয়া। এক ধারে খোল করতাল, লইয়া কয়েকটি বৈষ্ণব বসিয়া আছে—সংকীত্তন হইবে। ঠাকুরকে ঘেরিয়া ভক্তেরা সব বসিলেন । o { ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে একটি তাকিয়া লইয়া বসিতে বলা হইল। তিনি তাকিয়ার কাছে বসিলেন না। তাকিয়া সরাইয়া বসিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—তাকিয়া ঠেসান দিয়া বসাণ কি জানো, ' অভিমান ত্যাগ করা বড় কঠিন। এই বিচার কচ্চ অভিমান কিছ নয়। আবার কোথা থেকে এসে পড়ে ! “ছাগলকে কেটে ফেলা গেছে, তব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়ছে। “স্বপেন ভয় দেখেছো ; ঘুম ভেঙ্গে গেল, বেশ জেগে উঠলে তব বকে দড়দড় করে। অভিমান ঠিক সেই রকম। তাড়িয়ে দিলেও আবার কোথা থেকে এসে পড়ে। অমনি মখ ভার করে বলে, আমায় খাতির কল্পে না।” কেদার—তৃণাদপি সনেীচেন, তরোরিব সহিষ্ণনা। শ্রীরামকৃষ্ণ—আমি ভক্তের রেণরে রেণ । [ বৈদ্যনাথের প্রবেশ বৈদ্যনাথ কৃতবিদ্য। কলিকাতার বড় আদালতের উকীল, ঠকুরকে হাতজোড় করিয়া প্রণাম করিলেন ও একপাশেব আসন গ্রহণ করিলেন। সরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—ইনি আমার আত্মীয়।