পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ꮼ. प्लेट्टीब्रार्बक्लक्कषात्र उ–३न्न छाण [ s४४०, ३ध्ना छदन কারকে করবো না। তখন ঠাকুর নিজে যুধিষ্ঠিরকে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করতে লাগলেন। তবে বিভীষণ রাজমুকুটসন্ধে সান্টাঙ্গ হয়ে প্রণাম করে। “কি রকম জান? যেমন বাড়ীর বউ দেওর, ভাশর, বশর, স্বামী সকলকে সেবা করে, পা ধোবার জল দেয়, গামছা দেয়, পিড়ে পেতে দেয়, কিন্তু এক স্বামীর সঙ্গেই অন্য রকম সম্প্ৰবন্ধ। “এই প্রেমাভক্তিতে দটি জিনিস আছে। ‘অহংতা’ আর ‘মমতা। যশোদা ভাবতেন, আমি না দেখলে গোপালকে কে দেখবে, তা হলে গোপালের অসুখ করবে। কৃষ্ণকে ভগবান বলে যশোদার বোধ ছিল না। আর ‘মমতা’— আমার জ্ঞান, আমার গোপাল। উদ্ধব বললেন, ‘ম ! তোমার কৃষ্ণ সাক্ষাৎ ভগবান, তিনি জগৎ চিন্তামণি। তিনি সামান্য নন।’ যশোদা বললেন, ‘ওরে তোদের চিন্তামণি নয়, আমার গোপাল কেমন আছে জিজ্ঞাসা করছি। —চিন্তামণি না, আমার গোপাল। “গোপীদের কি নিষ্ঠা! মথুরায় বারীকে অনেক কাকুতি-মিনতি করে সভায় ঢািকলো। বারী কৃষ্ণের কাছে তাদের লয়ে গেল। কিন্তু পাগড়ী বাঁধা শ্ৰীকৃষ্ণকে দেখে তারা হে’টমখ হয়ে রইল। পরপর বলতে লাগলো, "এ পাগড়ী-বাঁধা আবার কে ! এ’র সঙ্গে আলাপ কল্পে আমরা কি শেষে ন্ধিচারিণী হবো! আমাদের পীতধড়া মোহনচূড়াপরা সেই প্রাণবল্লভ কোথায়! “দেখছ, এদের কি নিষ্ঠা ! বন্দাবনের ভাবই আলাদা। শুনেছি, দুবারকার কাছে লোকেরা অজানের কৃষ্ণকে পজা করে। তারা রাধা চায় না।” [८शाभौटनब्र निष्प्ला-स्नानस्नील्ल ७ ८थञाख्र्धाङ ] ভক্ত—কৈানটি ভাল, জ্ঞানমিশ্রিতা ভক্তি, না প্রেমাভক্তি ? শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরে খুব ভালবাসা না হ’লে প্রেমাভক্তি হয় না। আর আমার জ্ঞান। তিন বন্ধ বন দিয়ে যাচ্ছে, বাঘ এসে উপস্থিত। একজন বললে, ‘ভাই! আমরা সব মারা গেলাম!’ আর একজন বললে, ‘কেন ? মারা যাব কেন ? এস ঈশ্বরকে ডাকি। আর একজন বললে, ‘না, তাঁকে আর কন্ট দিয়ে কি হবে ? এস, এই গাছে উঠে পড়ি।’ “যে লোকটি বললে আমরা মারা গেলাম, সে জানে না যে ঈশবর রক্ষাকত্তা আছেন। যে বললে, ‘এস, আমরা ঈশ্বরকে ডাকি, সে জ্ঞানী ; তার বোধ আছে যে ঈশ্বর সন্টি-স্থিতি-প্রলয় সব করছেন। আর যে বললে, তাঁকে কট দিয়ে কি হবে, এস গাছে উঠি, তার ভিতর প্রেম জন্মেছে, ভালবাসা জন্মেছে। তা প্রেমের স্বভাবই এই যে, আপনাকে বড় মনে করে, আর প্রেমের পাত্রকে ছোট মনে করে। পাছে তার কষ্ট হয়। কেবল এই ইচ্ছা যে, যাকে ভালবাসে তার পায়ে কাঁটাটি পর্যন্ত না ফোটে।” ঠাকুর ও ভক্তদিগকে রাম উপরে লইয়া গিয়া নানাবিধ মিস্টান্ন দিয়া সেবা করিলেন। ভক্তেরাও মহানন্দে প্রসাদ পাইলেন।