পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ げ घैटौब्रामकृक्कथाबाङ-२ब्र काग ১৮৮৩, ৫ই জন [ग:ब्रालिबा नरवाम-चैौभद्ध-कथिऊ कब्रिङाञङ ] আজ মঙ্গলবার অমাবস্যা। সন্ধ্যা হইল। ঠাকুরবাড়ীতে আরতি হইতেছে। দ্বাদশ শিবমন্দিরে, রাধাকাতের মন্দিরে ও ভবতারিণীর মন্দিরে শঙ্খ ঘণ্টাদির মঙ্গল বাজনা হইতেছে। আরতি সমাপ্ত হইলে কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের ঘর হইতে দক্ষিণের বারান্দায় আসিয়া বসিলেন। চতুদিকে নিবিড় অাঁধার, কেবল ঠাকুরবাড়ীতে প্ৰথানে পথানে দীপ জলিতেছে। ভাগীরথীবক্ষে আকাশের কালো ছায়া পড়িয়াছে। অমাবস্যা, ঠাকুর সহজেই ভাবময় ; আজ ভাব ঘনীভূত হইয়াছে। শ্ৰীমন্খে মাঝে মাঝে প্রণব উচ্চারণ ও মা'র নাম করিতেছেন। গ্রীষ্মকাল, ঘরের ভিতর বড় গরম। তাই বারান্দায় আসিয়াছেন। একজন ভক্ত একটি মছলন্দের মাদর দিয়াছেন। সেইটি বারান্দায় পাতা হইল। ঠাকুরের অহনিশি মা'র চিন্তা ; শ্যইয়া শুইয়া মণির সঙ্গে ফিস ফিস করিয়া কথা কহিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখ, ঈশ্বরকে দশন করা যায়! অমকের দশন হয়েছে, কিন্তু কারকে বোলো না। আচ্ছা, তোমার রুপ না নিরাকার, ভাল লাগে ? মণি-আজ্ঞা, এখন একট নিরাকার ভাল লাগে। তবে একট একটা বুঝছি যে, তিনিই এ সব সাকার হয়েছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখ, আমায় বেলঘোরে মতি শীলের ঝিলে গাড়ী করে নিয়ে যাবে? সেখানে মুড়ি ফেলে দাও, মাছ সব এসে মুড়ি খাবে। আহা! মাছগলি ক্ৰীড়া করে বেড়াচ্ছে, দেখলে খুব আনন্দ হয়। তোমার উদ্দীপন হবে, যেন সচ্চিদানন্দ-সাগরে আত্মারাপ মীন ক্রীড়া করছে! তেমনি খুব বড় মাঠে দাঁড়ালে ঈশ্বরীয় ভাব হয়। যেন হাঁড়ির মাছ পুকুরে এসেছে। “তাঁকে দশন করতে হ’লে সাধনের দরকার। আমাকে কঠোর সাধন করতে হয়েছে। বেলতলায় কত রকম সাধন করেছি। গাছতলায় পড়ে থাকতুম, মা দেখা দাও বলে ; চক্ষের জলে গা ভেসে যেতো ” মণি—আপনি কত সাধন করেছেন, আর লোকের কি একক্ষণে হয়ে যাবে ? বাড়ীর চারিদিকে আঙ্গল ঘুরিয়ে দিলেই কি দেয়াল হয় ? শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে)—অমত বলে, একজন আগন করলে দশজন পোয়ায়! আর একটি কথা, নিতো পৌঁছে লীলায় থাকা ভাল। মণি—আপনি বলেছেন, লীলা বিলাসের জন্য। শ্রীরামকৃষ্ণ-না। লীলাও সত্য। আর দেখ, যখন আসবে, তখন হাতে করে একটা কিছ আনবে। নিজে বলতে নাই, অভিমান হয়। অধর সেনকেও বলি, এক পয়সার কিছ নিয়ে এসো। ভবনাথকে বলি, এক পয়সার পান আনিস। ভবনাথের কেমন ভক্তি দেখেছ? নরেন্দ্র, ভবনাথ—যেমন নরনারী।