পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फूज्रौम्न अब्रिट्क्रम ञ्जक्र ७ अर्थाङ ज्रटङम-भानदष लौणा এইবার কেশব উচ্চৈস্বরে বলছেন, “আমি এসেছি’, ‘আমি এসেছি’ ! এই বলিয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বাম হাত ধারণ করিলেন ও সেই হাতে হাত বলাইতে লাগিলেন। ঠাকুর ভাবে গগর মাতোয়ারা। আপনা আপনি কত কথা বলিতেছেন। ভক্তেরা সকলে হাঁ করিয়া শুনিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ—যতক্ষণ উপাধি, ততক্ষণই নানা বোধ। যেমন কেশব প্রসন্ন, অমত, এই সব। পণিজান হ'লে এক চৈতন্য-বোধ হয়। “আবার পণেজানে দেখে যে, সেই এক চৈতন্য, এই জীব-জগৎ এই চতুবিংশতি তত্ত্ব হয়েছেন। “তবে শক্তিবিশেষ। তিনিই সব হয়েছেন বটে, কিন্তু কোনখানে বেশী শক্তির প্রকাশ, কোনখানে কম শক্তির প্রকাশ। “বিদ্যাসাগর বলেছিল, তা ঈশ্বর কি কারকে বেশী শক্তি, কারকে কম শক্তি দিয়েছেন ? আমি বললাম, তা যদি না হতো, তা হলে এক জন লোক পঞ্চাশ জন লোককে হারিয়ে দেয় কেমন করে, আর তোমাকেই বা আমরা দেখতে এসেছি কেন ?’ “তাঁর লীলা যে আধারে প্রকাশ করেন, সেখানে বিশেষ শক্তি। “জমিদার সব জায়গায় থাকেন। কিন্তু অমকে বৈঠকখানায় তিনি প্রায় বসেন। ভক্ত তাঁর বৈঠকখানা। ভক্তের হৃদয়ে তিনি লীলা করতে ভালবাসেন। ভক্তের হৃদয়ে তাঁর বিশেষ শক্তি তুবতীর্ণ হয়। “তার লক্ষণ কি ? যেখানে কাষ বেশী, সেখানে বিশেষ শক্তির প্রকাশ। “এই আদ্যাশক্তি আর পরব্রহ্ম অভেদ। একটিকে ছেড়ে আর একটিকে . চিন্তা করবাবু যো নাই। যেমন জ্যোতিঃ আর মণি! মণিকে ছেড়ে মণির জ্যোতিকে ভাববার যো নাই; আবার জ্যোতিকে ছেড়ে মণিকে ভাববার যো নাই। সাপ আর তিয্যকগতি! সাপকে ছেড়ে তিয্যকগতি ভাববার যো নাই; আবার সাপের তিয্যকগতি ছেড়ে সাপকে ভাববার যো নাই । [ব্ৰাহ্মসমাজ ও মানৰে ঈশ্বর দর্শন—সিন্ধ ও সাধকের প্রভেদ | “আদ্যাশক্তিই এই জীবজগৎ, এই চতুবিংশতি তত্ত্ব হয়েছেন। অনালোম, বিলোম। রাখাল, নরেন্দ্র আর আর ছোকরাদের জন্য ব্যস্ত হই কেন ? হাজরা বললে, তুমি ওদের জন্য ব্যস্ত হয়ে বেড়াচ্ছ, তা ঈশ্বরকে ভাববে কখন ? (কেশব ও সকলের ঈষৎ হাস্য)। “তখন মহা চিন্তিত হলাম। বললাম, মা, একি হলো। হাজরা বলে, ওদের জন্য ভাব কেন ? তার পর ভোলানাথকে জিজ্ঞাসা করলুম। ভোলানাথ