পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૪ छैोक्कैोब्रार्बकृककथाबुङ-२ब्र छाण [ s४४७, २४८ण नटख्थ्र्वग्न ঠাকুর হাসিতে লাগিলেন। " উমানাথ বলিতেছেন,—‘মা বলছেন, কেশবের অসুখটি যাতে সারে। ঠাকুর বলিতেছেন, “মা সবেচনী আনন্দময়ীকে ডাকো, তিনি দুঃখ দরে করবেন।” কেশবকে বলিতেছেন— “বাড়ীর ভিতরে অত থেকো না। মেয়েছেলেদের মধ্যে থাকলে আরো ডুববে ; ঈশ্বরীয় কথা হলে আরো ভাল থাকবে।” । গভীরভাবে কথাগুলি বলিয়া আবার বালকের ন্যায় হাসিতেছেন। কেশবকে বলছেন, “দেখি, তোমার হাত দেখি।” ছেলেমানষের মত হাত লইয়া যেন ওজন করিতেছেন। অবশেষে বলিতেছেন, “না, তোমার হাত হালকা আছে, খলদের হাত ভারী হয়।” (সকলের হাস্য)। উমানাথ দ্বারদেশ হইতে আবার বলিতেছেন—“মা বলছেন, কেশবকে আশীবাদ করন।” শ্রীরামকৃষ্ণ (গভীর সবরে)—আমার কি সাধ্য! তিনিই আশীবাদ করবেন। “তোমার কম তুমি ক’র মা, লোকে বলে করি আমি। “ঈশ্বর দইবার হাসেন। একবার হাসেন যখন দুই ভাই জমি বখরা করে ; আর দড়ি মেপে বলে, “এ দিকটা আমার, ও দিকটা তোমার’ ! ঈশ্বর এই ভেবে হাসেন, আমার জগৎ, তার খানিকটা মাটি নিয়ে করছে এ দিকটা আমার ও দিকটা তোমার! ঈশ্বর আর একবার হাসেন। ছেলের অসুখ সঙ্কটাপন্ন। মা কাঁদছে। বৈদ্য এসে বলছে, ভয় কি মা, আমি ভাল করবো। বৈদ্য জানে না ঈশবর যদি মারেন, কার সাধ্য রক্ষা করে!” (সকলেই নিস্তদ্ধ)। ঠিক এই সময় কেশব অনেকক্ষণ ধরিয়া কাশিতে লাগিলেন। সে কাশি আর থামিতেছে না। সে কাশির শব্দ শুনিয়া সকলের কতট হইতেছে। অনেকক্ষণ পরে ও অনেক কন্টের পর কাশি একটা বন্ধ হইল। কেশব আর থাকিতে পারিতেছেন না। ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। কেশব , প্রণাম করিয়া অনেক কটে দেয়াল ধরিয়া সেই বার দিয়া নিজের কামরায় পুনরায় গমন করিলেন।