পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

げ8 छैोछैोब्रामकृककथाबुङ–२ब्र फाण [ ১৮৮৩, ৯ই ডিসেম্বর রাজার হুকুম বিনে সৈন্য-আদি-গণ। যন্ধে না করিতে পারে করে নিরীক্ষণ ॥ ক্লমে ক্ৰমে অসিগড় ঘেরে রিপাগণ। তথাপিহ তাহাতে কিঞ্চিৎ নাহি মন৷ মাতা তাঁর আসি করে কত উচ্চধননি। উদিবগন হইয়া যে মাথায় কর হানি ॥ সবসব লইল আর সবনাশ হৈল। তথাপি তোমার কিছু ভুরক্ষেপ নৈল। জয়মল কহে মাতা কেন দুঃখভাব। যেই দিল সেই লবে তাহে কি করিব ॥ সেই যদি রাখে তবে কে লইতে পারে। অতএব আমা সবার উদ্যমে কি করে। শ্যামলসুন্দর হেথা ঘোড়ায় চড়িয়া। যন্ধে করিবারে গেলা অন্তর ধরিয়া। একাই ভক্তের রিপন সৈন্যগণ মারি। আসিয়া বান্ধিল ঘোড়া আপন তেওয়ারি ॥ সেবা সমাপনে রাজা নিকশিয়া দেখে। ঘোড়ার সবাঙ্গে ঘম বাস বহে নাকে ॥ জিজ্ঞাসয়ে মোর অশেব সওয়ার কে হৈল। ঠাকুর মন্দিরে বা কে আনি বান্ধিল ॥ সবে কহে কে চড়িল কে আনি বান্ধিল । আমরা যে নাহি জানি কখন আনিল । সংশয় হইয়া রাজা ভাবিতে ভাবিতে। সৈন্যসামন্ত সহ চলিল যন্ধেতে ॥ যন্ধেস্থানে গিয়া দেখে শত্তরের সৈন্য। রণশয্যায় শ্যইয়াছে মাত্র এক ভিন্ন। প্রধান যে রাজা এবে সেই মাত্র আছে। বিসময় হইয়া ঞিহ কারণ কি পাছে৷ হেনকালে আই প্রতিযোগীতা যে রাজা। গলবস্ত্র হইয়া করিল বহল পজা। আসিয়া জয়মল মহারাজার অগ্রেতে। নিবেদন করে কিছু করি জোড়হাতে৷ কি করিব যন্ধে তব এক যে সেপাই। পরম আশ্চর্য সে ত্ৰৈলোক্য-বিজয়ী। অথ নাহি মাগোঁ মঞি রাজ্য নাহি চাহোঁ। বরঞ্চ আমার রাজ্য চল দিব লহো ॥ শ্যামল সেপাই সেই লড়িতে আইল । তোমাসনে প্রীতি কি তার বিবরিয়া বল ॥ সৈন্য যে মারিল মোর তারে মই পারি। দরশনমাত্রে মোর চিত্ত নিল হরি। জয়মল বঝিল এই শ্যামলজীর কর্ম। প্রতিযোগী রাজা যে বঝিল ইহা মৰ্ম্ম৷ জয়মলের চরণ ধরিয়া স্তব করে। যাহার প্রসাদে কৃষ্ণকৃপা হৈল তারে৷ তাঁহা-সবার শ্ৰীচরণে শরণ আমার। শ্যামল সেপাই যেন কৰুে অঙ্গীকার। পাঠাতে ঠাকুর মাস্টারের সহিত কথা কহিতেছেন। o [ ভক্তমাল একঘেয়ে—অন্তরঙ্গ কে ? জনক ও শকদেৰ ] শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমার এ সব বিশ্বাস হয় ? তিনি সওয়ার হয়ে সেনা বিনাশ করেছিলেন, এ সব বিশ্বাস হয় ? মাস্টার—ভক্ত, ব্যাকুল হয়ে ডেকেছিল, এ অবস্থা বিশ্বাস হয়। ঠাকুরকে সওয়ার ঠিক দেখেছিল কিনা, এ সব বঝেতে পারি না। তিনি সওয়ার হয়ে আসতে পারেন, তবে ওরা তাঁকে ঠিক দেখেছিল কি না। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে)—বইখানিতে বেশ ভক্তদের কথা আছে। তবে একঘেয়ে। যাদের অন্য মত, তাদের নিন্দা আছে। পরদিন, সকালে উদ্যানপথে দড়িাইয়া ঠাকুর কথা কহিতেছেন। মণি বলিতেছেন, আমি তাহলে এখানে এসে থাকবো।