পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদ্যাশক্তির উপাসনাতেই ব্ৰহ্ম উপাসনা–ব্রহ্ম ও শক্তি অভেদ ৮৭ চিৎশক্তির ঐশ্বৰ্য্য—স্থষ্টি, পালন, সংহার ; জব জগৎ ; আবার ধ্যান, ধ্যাত, ভক্তি, প্রেম ; সবার্তার ঐশ্বৰ্য্য ।” “কিন্তু ব্ৰহ্ম আর শক্তি অভেদ। লঙ্কা থেকে ফিরে আসবার পর হনুমান রামকে স্তব করছেন ; বলছেন, হে রাম, তুমিই পরব্রহ্ম, আর সীতা তোমার শক্তি। কিন্তু তোমরা দু’জনে অভেদ । যেমন সর্প ও তার তীর্য্যগ গতি,— সাপের মত গতি ভাবতে গেলেই সাপকে ভাবতে হবে ; আর সাপকে ভাবলেই সাপের গতি ভাবতে হয়। দুগ্ধ ভাবলেই দুধের বর্ণ ভাবতে হয়, ধবলত্ব। দুধের মত সাদা অর্থাৎ ধবলত্ব ভাবতে গেলেই দুধকে ভাবতে হয়। জলের হিমশক্তি ভাবলেই জলকে ভাবতে হয়, আবার জলকে ভাবলেই জলের হিমশক্তিকে ভাবতে হয় ।” f “এই আছাশক্তি বা মহামায়া ব্ৰহ্মকে আবরণ ক’রে রেখেছে। আবরণ গেলেই ‘যা ছিলুম তাই হলুম। ‘আমিই তুমি’, ‘তুমিই আমি " . “যতক্ষণ আবরণ রয়েছে, ততক্ষণ বেদাস্তবাদীদের সোহহম্ অর্থাৎ ‘আমিই সেই পরমব্রহ্ম, এ কথা ঠিক খাটে না । জলেরই তরঙ্গ, তরঙ্গের কিছু জল নয়। যতক্ষণ আবরণ রয়েছে ততক্ষণ ম—ম বলে ডাক ভাল। তুমি মা, আমি তোমার সন্তান ; তুমি প্রভু, আমি তোমার দাস। সেবা-সেবক ভােবই ভাল। এই দাসভাব থেকে আবার সব ভাব আসে—শাস্ত, সখ্য ੈ। | মনিব যদি দাসকে ভালবাসে, তাহলে আবার তাকে বলে, আয় আমার কাছে ব’স্ ; তুইও যা, আমিও তা। কিন্তু দাস যদি মনিবের কাছে সেধে বস্তে যায়, মনিব রাগ করবে না ? [ আদ্যাশক্তি ও অবতার-লীলা ও ঈশান—What is Maya ? : , বেদ, পুরাণ, তন্ত্রের সমন্বয় ] “অবতার-লীলা—এ সৰ চিৎশক্তির ঐশ্বৰ্য্য। যিনিই ব্রহ্ম, তিনিই আবার রাম, কৃষ্ণ, শিব।” ঈশান—হরি, হর এক ধাতু কেবল প্রত্যয়ের ভেদ। (সকলের হান্ত )। স্ত্রীরামকৃষ্ণ—ই, এক বৈ দুই কিছু নাই। বেদেতে বলেছে, ওঁ