পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে কোজাগর লক্ষ্মী পূর্ণিমা ১১৭ ঔীরামকৃষ্ণ আবার ভক্তদের সম্বোধন করিয়া কথা কহিতেছেন । স্ত্রীরামকৃষ্ণ-নির্জনে তার চিন্তা ও নাম করতে বলছি কেন ? সংসারে রাতদিন থাকলে অশান্তি। দেখনা এক হাত জমির জন্ত ভায়ে ভায়ে খুনোখুনি । শিখরা Sikhs বলে, জমি, জরু আর টাকা এই তিনটির জন্ত যত গোলমাল, অশাস্তি । - [ রামচন্দ্র সংসার ও যোগবাশিষ্ট—‘মজার কুটি” ] “তোমরা সংসারে আছে তা ভয় কি ? রাম যখন সংসার ত্যাগ করবার কথা বললেন, দশরথ চিন্তিত হয়ে বশিষ্ঠের শরণাগত হলেন । বশিষ্ঠ রামকে বললেন, রাম তুমি কেন সংসার ত্যাগ করবে ? আমার সঙ্গে বিচার করে, ঈশ্বর ছাড়া কি সংসার ? কি ত্যাগ করবে, কি বা গ্রহণ করবে। তিনি ছাড়া কিছুই নাই। তিনি ঈশ্বর, মায়া, জীব, জগৎ’ রূপে প্রতীয়মান হচ্চেন ।” বলরামের পিতা—বড় কঠিন। ঐরামকৃষ্ণ—সাধনের সময় এই সংসার ‘ধোকার টাটী’ ; আবার জ্ঞানলাভ হবার পর, তাকে দর্শনের পর, এই সংসার ‘মজার কুটি”। [ অবতার পুরুষের ঈশ্বরদর্শন—অবতার চৈতন্তদেব ] “বৈষ্ণবগ্রন্থে আছে বিশ্বাসে মিলায়ে কৃষ্ণ তর্কে বহুজুর” । কেবল বিশ্বাস । “কৃষ্ণকিশোরের কি বিশ্বাস বৃন্দাবনে কূপ থেকে নীচ জাতি জল তুলে দিলে, তাকে বললে, তুই বল শিব। সে শিবনাম করার পর অমনি জল খেলে। সে বলতে ঈশ্বরের নাম করেছে আবার কড়ি দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত , এ কি!” “রোগাদি জন্ত তুলসী দিচ্ছে কৃষ্ণকিশোর দেখে অবাক।” “সাধু দর্শনের কথায় হলধারী বলেছিল কি আরদেখতে যাবে-পঞ্চভূতের খোল। কৃষ্ণকিশোর রাগ করে বললে, এমন কথ হলধারী বলেছে। সাধুর চিন্ময় দেহ জানে না ।”