গঞ্জ পরিচ্ছেদ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে—বলরামের পিতা প্রভৃতি আজ শনিবার ২২শে ডিসেম্বর ১৮৮৩ খৃঃ অঃ । এখন বেলা নয়টা হইবে। ৰলরামের পিতা আসিয়াছেন। রাখাল, হরিশ, মাষ্টার, লাটু এখানে বাস করিতেছেন। খামপুকুরের দেবেজ ঘোষ আসিয়াছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন । একজন ভক্ত জিজ্ঞাসা করিতেছেন,—ভক্তি কিসে হয় ? ত্রীরামকৃষ্ণ (বলরামের পিতা প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি )—এগিয়ে পড় । সাত দেউড়ির পর রাজা আছেন। সব দেউড়ি পার হয়ে গেলে তবে ত রাজাকে দেখবে। “আমি চানকে অন্নপূর্ণ প্রতিষ্ঠার সময় দ্বারিক বাবুকে বলেছিলাম (১৮৭৪ -৭৫ ) বড়দীঘিতে বড় মাছ আছে গভীর জলে । চার ফেল, সেই চারের গন্ধে ঐ বড় মাছ আসবে। এক একবার যাই দেবে। প্রেম ভক্তিরূপ চার। [ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ ও অবতার তত্ত্ব ] “ঈশ্বর নরলীলা করেন। মামুযে তিনি অবতীর্ণ হন, যেমন শ্ৰীকৃষ্ণ, রামচন্দ্র, চৈতন্তদেব।” “আমি কেশব সেনকে বলেছিলাম যে, মামুষের ভিতর তিনি বেশী প্রকাশ। মাঠের আলের ভিতর ছোট ছোট গৰ্ত্ত থাকে ; তাঁহাদের বলে যুটী। যুটীর ভিতর মাছ, কাকড়া জমে থাকে। মাছ, কাকড় খুঁজতে গেলে ঐ ঘুটর ভিতর খুজতে হয় ; ঈশ্বরকে খুজতে হলে অবতারের ভিতর খুঁজতে হয়।” “ঐ চৌদ্দপোয় মামুষের ভিতরে জগৎমাতা প্রকাশ হন। গানে আছে— শু্যামা মা কি কল করেছে ! চৌদপোয় কলের ভিতরি কত রঙ্গ দেখাতেছে । আপনি থাকি কলের ভিতরি কল ঘুরায় ধ'রে কলডুরি, কল বলে যে আপনি ঘুরি জানে না কে ঘোরাইতেছে।