পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত” পপ্রভচম ভাগ প্রথম খণ্ড গ্ৰথম পরিচ্ছেদ গ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে পঞ্চাশ বর্ষ পূৰ্ব্বে [ ঐরামকৃষ্ণের বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে প্রেমানন্দে নৃত্যু ) রাত্রি ৮টা-৯টা হইবে। ৪/দোলযাত্রা । রাম, মনোমোহন, রাখাল, নৃত্যগোপাল প্রভৃতি ভক্তগণ র্তাহাকে ঘেরিয়া রহিয়াছেন। সকলেই হরিনাম সংকীৰ্ত্তন করিতে করিতে মত্ত হইয়াছেন। কয়েকট ভক্তের ভাবাবস্থা হইয়াছে। মৃত্যগোপালের ভাববস্থায় বক্ষঃস্থল রক্তিমবর্ণ হইয়াছে। সকলে উপবেশন করিলে, মাষ্টার ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন। দেখিলেন–রাখাল শুইয়া আছেন, ভাবাবিষ্ট ও বাহঙ্কানশূন্ত। ঠাকুর তাহার বুকে হাত দিয়া শাস্ত হও’ ‘শাস্ত হও বলিতেছেন। রাখালের এই প্রথম ভাবাবস্থা। তিনি কলিকাতার বাসাতে পিত্রালয়ে থাকেন, মাঝে মাঝে ঠাকুরকে চুম্বন করিতে যান। এই সময়ে স্যামপুকুর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্কুলে কয়েক দিন পড়িয়াছিলেন। ঠাকুর মাষ্টারকে দক্ষিণেশ্বরে বলিয়াছিলেন, আমি কলিকাতায় বলরামের বাড়ীতে যাব, তুমিও আসিও ; তাই তিনি তাহাকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষ, ১৮৮২ খৃষ্টাব্দ, ১১ই মার্চ শনিবার, ঐযুক্ত বলরাম ঠাকুরকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনিয়াছেন। এইবার ভক্তেরা বারাণ্ডায় বসিয়া প্রসাদ পাইতেছেন। দাসের দ্যায় বলরাম দাড়াইয়া আছেন, দেখিলে বোধ হয় না, তিনি এই বাড়ীর কৰ্ত্তা।