পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ ১৮৮২, ১১ই মার্চ মাষ্টার এই নূতন আসিতেছেন। এখনও ভক্তদের সঙ্গে আলাপ হয় নাই । কেবল দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রের সঙ্গে আলাপ হইয়াছিল। [ সৰ্ব্বধৰ্ম্ম-সমন্বয় ] কয়েকদিন পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে শিব মন্দিরের সিড়ির উপর ভাববিষ্ট হইয়া বসিয়া আছেন। কিয়ৎক্ষণ পূৰ্ব্বে ঠাকুর নিজের ঘরে মেঝের উপর বিছানা পাতা–তাহাতে বিশ্রাম করিতেছিলেন। এখনও ঠাকুরের সেবার জন্ত কাছে কেহ থাকেন না। হৃদয় যাওয়ার পর ঠাকুরের কষ্ট হইতেছে । কলিকাতা হইতে মাষ্টার আসিলে তিনি তাহার সঙ্গে কথা কহিতে কহিতে, শ্রীশ্রীরাধাকাস্তের মন্দিরের সম্মুখস্থ শিব-মন্দিরের সিড়িতে আসিয়া বসিয়াছিলেন। কিন্তু মন্দির পৃষ্টে হঠাৎ ভাববিষ্ট হইয়াছেন। ঠাকুর জগন্মাতার সঙ্গে কথা কষ্টিতেছেন । বলিতেছেন, “মা, সব্বাই বলেছে, আমার ঘড়ি ঠিক চলছে। খৃষ্টান, ব্ৰহ্মজ্ঞানী, হিন্দু, মুসলমান সকলেই বলে, আমার ধৰ্ম্ম ঠিক। কিন্তু মা, কারুর ঘড়ী তো ঠিক চলছে না। তোমাকে ঠিক কে বুঝতে পারবে । তবে ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তোমার কৃপা হ’লে সব পথ দিয়ে তোমার কাছে পৌছান যায়। মা, খৃষ্টানরা গির্জাতে তোমাকে কি ক’রে ডাকে, একবার দেখিও । কিন্তু মা, ভিতরে গেলে লোকে কি বলবে ? যদি কিছু হাঙ্গামা হয় ? আবার কালী-ঘরে যদি ঢুকতে না দেয় ? তবে গির্জার দোরগোড়া থেকে দেখিও । [ ভক্তসঙ্গে ভজনানন্দে—রাখালপ্রেম—‘প্রেমের সুরা’ ] আর একদিন ঠাকুর নিজের ঘরে ছোট খাটটির উপর বসিয়া আছেন। আনন্দময় মূৰ্ত্তি—হাস্তবদন। শ্ৰীযুত কালীকৃষ্ণের সঙ্গে মাষ্টার আসিয়া উপস্থিত । কালীকৃষ্ণ জানিতেন না, তাহাকে তাহার বন্ধু কোথায় লইয়া আসিতেছেন । বন্ধু বলিয়াছিলেন, শুড়ীর দোকানে যাবে তো আমার সঙ্গে ° কালীকৃষ্ণু ভট্টাচায্য পরে বিদ্যাসাগর কলেজে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের প্রধান অধ্যাপক হইয়াছিলেন ।