পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসুন্দরের যাত্র-হরি, নারাণ প্রভৃতি সঙ্গে »¢ ዓ (নরেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি )—তুমি অনেক ভ্রমণ করেছ, সাধুদের কিছু গল্প কর।” বন্দ্যোপাধ্যায় ভূটানে দুইজন যোগী দেখেছিলেন, তারা আধসের নিমের রস খান ; এই সব গল্প করিতেছেন। আবার নৰ্ম্মদাতীরে সাধুর আশ্রমে গিয়েছিলেন। সেই আশ্রমের সাধু পেণ্টেলুন-পরা বাঙ্গালী বাবুকে দেখে বলেছিলেন ‘ইস্কা পেট মে ছুরি হ্যায়”। ত্রীরামকৃষ্ণ—দেখ, সাধুদের ছবি ঘরে রাখতে হয় ; তাহলে সৰ্ব্বদা ঈশ্বরের উদ্দীপন হয় । বন্দ্যোপাধ্যায়—আপনার ছবি ঘরে রেখেছি ; আর পাহাড়ে সাধুর ছবি, হাতে গাজার কল্‌কেতে আগুন দেওয়া হচ্চে । শ্রীরামকৃষ্ণ—ই ; সাধুদের ছবি দেখলে উদ্দীপন হয়। শোলার আত দেখলে যেমন সত্যকার আতার উদ্দীপন হয় ; যুবতী স্ত্রীলোক দেখলে লোকের যেমন ভোগের উদ্দীপন হয়। “তাই তোমাদের বলি—সৰ্ব্বদাই সাধুসঙ্গ দরকার।” ( বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি )–সংসারের জালা ত দেখেছ। ভোগ নিতে গেলেই জালা। চিলের মুখে যতক্ষণ মাছ ছিল, ততক্ষণ বীকে বীকে কাক এসে তাকে জালাতন করেছিল । “সাধুসঙ্গে শাস্তি হয় ; জলে কুম্ভীর অনেকক্ষণ থাকে ; এক এক বার জলে ভাসে, নিশ্বাস লবার জন্য। তখন ইপি ছেডে বাচে!” [ যাত্রাওয়ালা ও ঈশ্বর ‘কল্পতরু”—সকাম প্রার্থনার বিপদ ] যাত্রাওয়ালা—আজ্ঞা, আপনি ভোগের কথা বল্লেন, তা ঠিক। ঈশ্বরের কাছে ভোগের কামনা করলে শেষকালে বিপদে পড়তে হয় । মনে কত রকম কামনা বাসনা উঠছে, সব কামনাতে ত মঙ্গল হয় না। ঈশ্বর কল্পভরু, তার কাছে যা কামনা করে চাইবে তা এসে পড়বে। এখন মনে যদি উঠে ইনি কল্পতরু, আচ্ছা দেখি বাঘ যদি আসে । বাঘকে মনে করতে বাঘ এসে পড়ল ; আর লোকটাকে খেয়ে ফেল্পে । শ্রীরামকৃষ্ণ-হ্যা, ঐ বোধ, যে বাঘ আসে।