পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ ১৮৮৫, ফেব্রুয়ারী ২২ নরেন্দ্ৰ—আপনি লেখাপড়া জানেন না, আমরা সব পণ্ডিত, এই সব কথা হচ্ছিল । ( হাস্ত ) ৷ [ শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্ৰ—পাণ্ডিত্য ও শাস্ত্র ] মণিমল্লিক ( ঠাকুরের প্রতি )—আপনি না পড়ে পণ্ডিত । শ্রীরামকৃষ্ণ ( নরেন্দ্রাদির প্রতি )—সত্য বলছি, আমি বেদান্ত আদি শাস্ত্র পড়ি নাই বলে একটু দুঃখ হয় না। আমি জানি, বেদান্তের সার, ব্ৰহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা। আবার গীতার সার কি ? গীতা দশবার বল্পে যা হয় ; ভ্যাগী ত্যাগী ! “শাস্ত্রের সার গুরুমুখে জেনে নিতে হয়। তারপর সাধন ভজন। একজন চিঠি লিখেছিল। চিঠিখানা পড়া হয় নাই, হারিয়ে গেল। তখন সকলে মিলে খুজতে লাগল। যখন চিঠিখানা পাওয়া গেল, পড়ে দেখলে, পাচসের সন্দেশ পাঠাবে আর একখানা কাপড পাঠাবে। তখন চিঠিট ফেলে দিলে, আর পাচসের সন্দেশ, আর একখানা কাপড়ের যোগাড় করতে লাগল। তেমনি শাস্ত্রের সার জেনে নিয়ে আর বই পড়বার কি দরকার ? এখন সাধন ভজন | * এইবার গিরীশ ঘরে আসিয়াছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( গিরীশের প্রতি )—ই গা, আমার সব কথা তোমরা কি কচ্ছিলে ? আমি খাই দাই থাকি । গিরীশ—আপনার কথা আর কি বলবো। আপনি কি সাধু ? শ্রীরামকৃষ্ণ—সাধু টাধু নয়। আমার সত্যই তো সাধু বোধ নাই। গিরীশ– ফচকিমিতেও আপনাকে পারলুম না। শ্রীরামকৃষ্ণ—আমি লালপেড়ে কাপড় পরে জয়গোপাল সেনের বাগানে গিছলাম । কেশব সেন সেখানে ছিল । কেশব লালপেড়ে কাপড় দেখে তমেব ধীরে বিজ্ঞায় প্রজ্ঞাং কুবিত ব্রাহ্মণঃ। নানুধ্যায়ীদ বহুস্থদান বাচে। বিগ্লাপনং হি তদ। इश्नाङ्गादकां★नि६९-8, 8, २s