পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ዓፀ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ ১৮৮৫, ফেব্রুয়ারী ২২ ভজনের পর সিদ্ধ হয়ে সংসারে ছিল। সে দুখানা তলোয়ার ঘুরতে ; জ্ঞান 1র কৰ্ম্ম । এই বলিয়া ঠাকুর গান গাহিতেছেন— এই সংসার মজার কুঠি । আমি খাই দাই আর মজা লুটি ॥ জনক রাজা মহাতেজা, তার বা কিসে ছিল ক্রটী সে যে এদিক ওদিক দুদিক রেখে থেয়েছিল দুধের বাটী। “তোমাদের পক্ষে চৈতন্যদেব যা বলেছিলেন, জীবে দয়া, ভক্তসেবা আর নাম সংকীৰ্ত্তন।” “তোমায় বলছি কেন ? তোমার ছোঁস-এর ( House, সদাগরের বাড়ীর ) কাজ ; আর অনেক কাজ করতে চয় । তাই বলছি । “তুমি অফিসে মিথ্যা কথা কও, তবে তোমার জিনিয খাই কেন তোমার যে দান ধ্যান আছে ; তোমার যা অfয় তার চেয়ে বেশী দান কর ; বীর হাত কাকুড়ের তের হাত বিচি !” “কৃপণের জিনিষ খাই না । তাদের ধন এই কয় রকমে উড়ে যায় :– BB SJBBB BB BBBS DD SJSBB BBBB S BBB SBBB BBBS ৪র্থ :–আবার বদ ছেলেরা সেই সব টাকা উড়িয়ে দেয় ; এই সব। “তুমি যে দান ধ্যান কর, খুব ভাল। যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত। কৃপণের ধন উড়ে যায় ; দাতার ধন রক্ষা হয়, সৎকাজে যায়। ওদেশে চাষারা থানা কেটে ক্ষেতে জল আনে। কখনও কখনও জলের এত তোড় হয় যে ক্ষেতের আলি ভেঙ্গে যায়, আর জল বেরিয়ে যায় ও ফসল নষ্ট হয়। তাই চাষার অালের মাঝে মাঝে ছেদ করে রাখে ; তাকে ঘোগ বলে । জল ধোগ দিয়ে একটু একটু বেরিয়ে যায়, তখন জলের তোড়ে আল ভাঙ্গে না। আর ক্ষেতের উপর পলি পড়ে। সেই পলিতে ক্ষেত উর্বরা হয় ; আর খুব ফসল হয়। যে দান ধ্যান করে, সে অনেক ফল লাভ করে ; চতুৰ্ব্বৰ্গ ফল।” ভক্তেরা সকলে ঠাকুরের শ্ৰীমুখ হইতে এই দান ধৰ্ম্ম কথা এক মনে শুনিতেছেন।