পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীরামকৃষ্ণ ষ্টার থিয়েটারে বৃষকেতু অভিনয় দর্শন SS) গান হইয়া গেলে আবার ভক্ত সঙ্গে কথা হইতেছে। গিরীশ–দেবেক্তবাবু আসেন নাই ; তিনি অভিমান করে বলেন, আমাদের ভিতর তো ক্ষীরের পোর নাই, কলায়ের পোর। আমরা এসে কি করব ? শ্রীরামকৃষ্ণ ( বিস্মিত হইয়া )—কই, আগে ত উনি ওরকম করতেন না ? ঠাকুর জল সেবা করিতেছেন, নরেন্দ্রকেও থাইতে দিলেন । যতীন দেব ( শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি )– নরেন্দ্র খাও’ ‘নরেন্দ্র খাও" বলছেন, আমরা শালারা ভেসে এসেছি । যতীনকে ঠাকুর খুব ভালবাসেন । তিনি দক্ষিণেশ্বরে গিয়া মাঝে মাঝে দর্শন করেন ; কখন কখন রাত্রেও সেখানে গিয়া থাকেন। তিনি শোভাবাজারের রাজাদের বাড়ীর ছেলে । শ্রীরামকৃষ্ণ ( নরেঞ্জের প্রতি, সাহাস্তে –ওরে (যতীন ) তোর কথাই बञ्एझ । ঠাকুর হাসিতে হাসিতে যতীনের খুতি ধরে আদর করিতে করিতে বলিলেন, ‘সেখানে যাস, গিয়ে থাস্!” অর্থাৎ "দক্ষিণেশ্বরে যাস ’ ঠাকুর আবার বিবাহ-বিভ্রাট অভিনয় শুনিবেন ; বক্সে গিয়া বসিলেন । ঝির কথাবার্তা শুনে হাসিতে লাগিলেন । { গিরীশের অবতারবাদ—শ্রীরামকৃষ্ণ কি অবতার ] খানিকক্ষণ শুনিয়া অন্ত্যমনস্ক হইলেন। মাষ্টারের সহিত আস্তে আস্তে কথা কহিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারের প্রতি –আচ্ছা, গিরীশ ঘোষ যা বলছে (অর্থাৎ অবতার ) তা কি সত্য ? মাষ্টার—আজ্ঞা ঠিক কথা ; না হলে সবার মনে লাগছে কেন ? হীরামকৃষ্ণ—দেখ, এখন একটা অবস্থা আসছে ; আগেকার অবস্থা উন্টে গেছে। ধাতুর দ্রব্য ছুতে পারছি না। মাষ্টার অবাকৃ হইয়া শুনিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ–এই যে নুতন অবস্থা, এর একটা খুব গুহ মানে আছে।