পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& о о ঐশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ পরিশিষ্ট কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর গিয়া দেখেন, তিনি বন্ধুসঙ্গে পঞ্চবটমূলে ধ্যান করিতেছেন। ধ্যানাস্তে ঠাকুর তাহাকে বলিতেছেন, “দেখ, ঈশ্বরদর্শনই -জীবনের উদ্দেশ্য ; ব্যাকুল হয়ে নির্জনে গোপনে তার ধ্যান চিন্তা করতে হয় -ও কেঁদে কেঁদে প্রার্থনা করতে হয়, “ঠাকুর আমাকে দেখা দাও”।” ব্ৰাহ্মসমা.জের ও অন্তান্ত ধৰ্ম্মাবলম্বীদের লোকহিতকর কৰ্ম্ম যথা স্ত্রীশিক্ষা স্কুল স্থাপন বক্তৃতা, (lecture ) দেওয়া সম্বন্ধে বলিলেন, “আগে ঈশ্বর দর্শন কর। নিরাকার সাকার দুই দর্শন। বাক্যমনের অতীত যিনি তিনিই আবার ভক্তের জন্ত রূপ ধারণ ক’রে দর্শন দেন আর কথা কল । দর্শনের পর তার আদেশ লয়ে লোকহিতকর কৰ্ম্ম করতে হয় । একটা গানে আছে—মন্দিরে ঠাকুর প্রতিষ্ঠা হয় নাই, পোদো কেবল শাখ বাজাচ্ছে, যেন আরতি, হচ্ছে ঃ একজন তাই তাকে ধিক্কার দিয়ে বলছে— মন্দিরে তোর নাহিক মাধব । (ওরে ) পোদে, শশক ফুকে তুই করলি গোল । তায় চামচিকে এগার জন, দিলানিশি দিচ্ছে হানা— “যদি হৃদয়-মন্দিরে মাধব প্রতিষ্ঠা করতে চাও, যদি ভগবান লাভ ক’রতে চাও, তা হ’লে শুধু ভে ভে করে শাক ফুকূলে কি হবে। আগে চিত্তশুদ্ধি কর ; মন শুদ্ধ হ’লে ভগবান পবিত্র আসনে এসে বসবেন । চামচিকার বিষ্ঠা থাকলে মাধবকে আনা যায় না। এগার জন চামচিকে অর্থাৎ একাদশ ইঞ্জিয় ? “আগে ডুব দাও। ডুব দিয়ে রত্ন তোল, তার পর অন্ত কাজ। আগে মাধব প্রতিষ্ঠা, তার পর ইচ্ছা হয় বক্তৃতা ( lecture ) দিও।” “কেউ ডুব দিতে চায় না। সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেকবৈরাগ্য নাই, দুই চারটে কথা শিখেই অমনি লেকৃচার!” “লোকশিক্ষা দেওয়া কঠিন। ভগবানকে দর্শনের পর যদি কেউ তার আদেশ পায়, তা হ’লে লোকশিক্ষা দিতে পারে।” ১৮৮৪ খৃষ্টাবের রথযাত্রার দিন কলিকাতায় ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণের সহিত