পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ গ্রীরামকৃষ্ণ, নরেন্দ্র ও সৰ্ব্বধৰ্ম্ম সমন্বয় (Harmony of all Religions.) নরেন্দ্র ও অন্তান্ত কৃতবিদ্য যুবকগণ, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সকল ধৰ্ম্মের উপর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হইয়াছিলেন। সকল ধৰ্ম্মে সত্য আছে, এ কথা পরমহংসদেব মুক্তকণ্ঠে বলিতেন। কিন্তু তিনি আরও বলিতেন, সকল ধৰ্ম্মই সত্য—অর্থাৎ প্রত্যেক ধৰ্ম্ম দিয়া ঈশ্বরের কাছে পৌছান যাইতে পারে। একদিন, ২৭শে অক্টোবর, ( ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে ) কেশবচন্দ্র সেন কোজাগর লক্ষ্মীপূজার দিন দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণকে ষ্টীমারে করিয়া দেখিতে গিয়াছিলেন ও তাহাকে তুলিয়া লইয়া কলিকাতায় ফিরিয়া আসিয়াছিলেন। পথে জাহাজের উপরে অনেক বিষয়ে কথা হয়। ঠিক এই সকল কথা ১৩ই আগষ্ট অর্থাৎ কয়েক মাস পূৰ্ব্বে হইয়াছিল। এই সৰ্ব্বধৰ্ম্মসমন্বয় কথা আমাদের diary হইতে উদ্ধৃত করিলাম। vকেদারনাথ চাটুয্যে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ীতে মহোৎসব করিয়াছিলেন। উৎসবাস্তে দক্ষিণের বারানায় বসিয়া বেলা ৩৪টার সময় কথাবাৰ্ত্ত হইতেছে। ত্রীরামকৃষ্ণ ( ভক্তদের প্রতি )—মত পথ। সকল ধৰ্ম্মই সত্য। যেমন কালীঘাটে নানা পথ দিয়া যাওয়া যায়। ধৰ্ম্ম কিছু ঈশ্বর নয়। ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্ম আশ্রয় করে ঈশ্বরকে কাছে পাওয়া যায়। “নদী সব নানা দিকৃ দিয়ে আসে, কিন্তু সব নদী সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। সেখানে সব এক।” ছাদে নানা উপায়ে উঠা যায়। পাকা সিড়ি, কাঠের সিড়ি, বাকা সিড়ি, আর শুধু একটা দড়ি দিয়াও উঠা যায়। তবে উঠবার সময় একটা ধ’রে উঠতে হয়—দু তিন রকম সিড়িতে পা দিলে উঠা যায় না। তবে ছাদে উঠবার পর সব রকম সিড়ি দিয়ে নামা যায়, উঠা যায়।” “তাই প্রথমে একটা ধৰ্ম্ম আশ্রয় করতে হয়। ঈশ্বরলাভ হ’লে সেই ব্যক্তি