পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ গ্রীরামকৃষ্ণ, বিজয়, (কাশব, নরেন্দ্র ‘কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ'—সন্ন্যাস (Renunciation ) একদিন শ্রীরামকৃষ্ণ ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়ীতে কথাবার্তা কহিতেছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি )—কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ না করলে লোকশিক্ষা দেওয়া যায় না। দেখ না, কেশব সেন ঐট পারলে না বলে, কি হলো শেষটা ! তুমি নিজে ঐশ্বৰ্য্যের ভিতর, কামিনীকাঞ্চনের ভিতর থেকে যদি বল, 'সংসার অনিত্য, ঈশ্বরই বস্তু’, অনেকে তোমার কথা শুনবে না। আপনার কাছে গুড়ের নাগরী রয়েছে, পরকে বলছে গুড় খেও না ! তাই ভেবে চিস্তে চৈতন্তদেব সংসার ত্যাগ করলেন। তা না হ’লে জীবের উদ্ধার হয় না। বিজয়—আজ্ঞা হা, চৈতন্যদেব বলেছিলেন, কফ যাবে বলে পিপ্পলখও তৈয়ের করলাম*–কিন্তু উন্ট উৎপত্তি হল, কফ বেড়ে গেল ; নবদ্বীপের অনেক লোক ব্যঙ্গ করতে লাগলো ও বল্লে, নিমাই পণ্ডিত বেশ আছে হে ; সুন্দরী স্ত্রী, প্রতিষ্ঠা, অর্থের অভাব নেই, বেশ আছে । শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব যদি ত্যাগী হোতো অনেক কায হোতে। ছাগলের গায়ে ক্ষত থাকলে আর ঠাকুরসেবা হয় না। বলি দেওয়া হয় না। ত্যাগী না হ'লে লোকশিক্ষার অধিকারী হয় না। গৃহস্থ হ’লে ক’জন তার কথা শুনবে স্বামী বিবেকানন্দ কামিনীকাঞ্চলত্যাগী, তাই তাহার ঈশ্বরবিষয়ে লোকশিক্ষা দিবার অধিকার। বিবেকানন্দ বেদান্তে ও ইংরাজী ভাষা ও দর্শনাদিতে পণ্ডিতাগ্রগণ্য, তিনি অসাধারণ বাগ্মী, সেই কি তাহার মাহাত্ম্য ? ইহার

  • পিপুলখও--অর্থাৎ নবদ্বীপে হরিনাম প্রচার

àst