পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ পরিশিষ্ট উত্তর ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ দিবেন। দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ীতে ভক্তদের সম্বোধন করিয়া পরমহংসদেব ১৮৮২ খ্ৰীষ্টাব্দে স্বামী বিবেকানন্দ সম্বন্ধে বলিতেছেন— “এই ছেলেটিকে+ দেখছে এখানে একরকম। দুরস্ত ছেলে, বাবার কাছে যখন বসে, যেন জুজুটি ; আবার চাদনীতে যখন খেলে, তখন আর এক মুক্তি। এরা নিত্যসিদ্ধের থাক। এরা সংসারে কখন বদ্ধ হয় না । একটু বয়স হলেই চৈতন্ত হয়, আর ভগবানের দিকে চ’লে যায়। এরা সংসারে আসে জীবশিক্ষার জন্ত। এদের সংসারের বস্তু কিছু ভাল লাগে না—এর কামিনীকাঞ্চনে কখনও আসক্ত হয় না ।” “বেদে আছে হোম পার্থীর কথা। খুব উচু আকাশে সে পাখী থাকে। সেই আকাশেই সে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়লেই ডিমটা পড়তে থাকে। ডিম পড়তে পড়তে ফুটে যায়। তখন ছানাটা পড়তে থাকে। পড়তে পড়তে তার চোখ ফোটে, আর ডান বেরোয় । চোখ ফুটলেই দেখতে পায় যে, সে পড়ে যাচ্চে, আর শরীর মাটিতে লাগলে একবারে চুরমার হয়ে যাবে। তখন সে পাখী মা’র দিকে, উদ্ধদিকে, চোচা দৌড় দেয়, আর উচুতে উঠে যায়।” বিবেকানন্দ এই ‘হোমাপার্থী”—তার জীবনের এক লক্ষ্য মার কাছে চোচা দৌড় দিয়ে উঠে যাওয়া—গায়ে মাটি না ঠেকতে ঠেকতে অর্থাৎ সংসার স্পর্শ না করতে করতে ভগবানের পথে অগ্রসর হওয়া । ত্রীরামকৃষ্ণ–9বিদ্যাসাগরকে বলিয়াছিলেন, “পণ্ডিত্য” শুধু পাণ্ডিত্যে, কি হবে ? শকুনিও অনেক উচুতে উঠে, কিন্তু নজর ভাগাড়ের দিকে,— কোথায় পচা মড়া | পণ্ডিত অনেক শ্লোক ফন্ডর ফন্ডুর করতে পারে, কিন্তু

  • স্বামী বিবেকানন্দ তপন General Assembly কলেজে পড়েন । বয়স হবে ১৯২• । র্তাহার বাড়ী তখন কলেজের কাছে সিমুলিয়ায় । পিতার নাম ৮বিশ্বনাথ দত্ত, হাইকেটের এটৰ্ণি। বালকের নাম নরেন্দ্র । কলেজে থাকিয়। বি, এ পাশ করিয়াছিলেন । Hastie সাহেব প্রধান অধ্যাপক ছিলেন। এক্ষণে র্তাহীর ভাই ভগ্নির আছেন। স্বামীর জন্মদিন—সোমবার পেীৰ সংক্রান্তি, ১২৬৯ সালে, প্রাতে ৬-৩১।৩৩ সময়, সুৰ্য্যোদয়ের ৬মিনিট পূৰ্ব্বে, বয়স—৩৯ বৎসর ৪ মাস ২৪ দিন হইয়ছিল ।