পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रै रेbr শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ পরিশিষ্ট গাত্রে যথার্থই পৃথিবীর মূৰ্ত্তিক স্পর্শ করে নাই। তোমার গাত্রে কামিনীকাঞ্চনের দাগটি পর্য্যন্ত লাগে নাই। তুমি প্রলোভনের রাজ্য হইতে পলায়ন কর নাই। তাহার মধ্যে থাকিয়া, শ্রীনগরে বাস করিয়া, ঈশ্বরের পথে অগ্রসর হইয়াছ। তুমি সামান্ত জীবের ন্তায় দিন কাটাইতে চাও নাই। তুমি দেবভাবের জলন্ত দৃষ্টাস্ত রাখিয়া এ মর্ত্যধাম ত্যাগ করিয়া গিয়াছ। অষ্টম পরিচ্ছেদ গ্রীরামকৃষ্ণ কৰ্ম্মযোগ, নরেন্দ্র ও দরিদ্রনারায়ণ (সব!—( নিষ্কাম কৰ্ম্ম ) পরমহংসদেব বলিতেন, কৰ্ম্ম সকলেরই করতে হয়। জ্ঞান, ভক্তি ও কৰ্ম্ম এই তিনটি ঈশ্বরের কাছে পেছিবার পথ ! গীতায় আছে,– সাধু গৃহস্থ, প্রথমে চিত্তশুদ্ধির জন্ত গুরুর উপদেশ অনুসারে অনাসক্ত হ’য়ে কৰ্ম্ম করিবে। “আমি কর্তা এটি অজ্ঞান, ধন-জন কাৰ্য্যকলাপ আমার, এটিও অজ্ঞান। গীতায় আছে, আপনাকে অকৰ্ত্তা জেনে ঈশ্বরকে ফল সমৰ্পণ করে কায করতে হয়। গীতায় আরও আছে যে সিদ্ধিলাভের পরও প্রত্যাদিষ্ট হইয়া কেহ কেহ যেমন জলকাদি কৰ্ম্ম করেন । গীতায় যে আছে কৰ্ম্মযোগ, সে এই । ঠাকুর ঐরামকৃষ্ণও ঐ কথা বলিতেন । তাই কৰ্ম্মযোগ বড় কঠিন। অনেকদিন নির্জনে ঈশ্বরের সাধনা না করলে অনাসক্ত হয়ে কৰ্ম্ম করা যায় না। সাধনার অবস্থায় গুরুর উপদেশ সৰ্ব্বদা প্রয়োজন। তখন কঁচা অবস্থা, তাই কোন দিক থেকে আসক্তি এসে পড়ে জানতে পারা যায় না। মনে করছি, আমি অনাসক্ত হয়ে, ঈশ্বরে ফল সমর্পণ করে জীবসেবা দানাদি কাৰ্য্য করছি ! কিন্তু বাস্তবিক আমি হয় তো লোকমান্ত হবার জন্ত করছি, নিজেই বুঝতে পারছি না। যে ব্যক্তি গৃহস্থ, যার গৃহ পরিজন, আমীয়কুটম্ব আমার বলবার আছে, তাকে দেখে নিষ্কাম কৰ্ম্ম ও অনাসক্তি, পদার্থে স্বাৰ্থত্যাগ, এ সকল শিক্ষা করা বড় কঠিন।