পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ স্ত্রীলোক লইয়া সাধনা বা বামাচার সম্বন্ধে ঠাকুর গ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামীজীর উপদেশ স্বামী বিবেকাননা একদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করিতে গিয়াছিলেন। ভবনাথ ও বাবুরাম প্রভৃতি উপস্থিত ছিলেন। ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দ ২৯শে সেপ্টেম্বর । ঘোষপাড়া ও পঞ্চনামী সম্বন্ধে নরেন্দ্র কথা তুলিলেন ও জিজ্ঞাসা করিলেন, স্ত্রীলোক লইয়া তারা কিরূপ সাধনা করে ? ঠাকুর নরেঞ্জকে বলিলেন, “তোর আর এসব কথা শুনে কাজ নাই । কৰ্ত্তাভজা ঘোষপাড়া ও পঞ্চনামী আবার ভৈরব ভৈরবী এরা ঠিক ঠিক সাধনা করতে পারে না ; পতন হয়। ও সব পথ নোংরা পথ, ভাল পথ নয়। শুদ্ধ পথ দিয়ে যাওয়াই ভাল। কাশীতে আমায় ভৈরবীচক্রে নিয়ে গেল। একজন ক’রে ভৈরব, একজন ক’রে ভৈরবী, আমায় আবার কারণ পান করতে বললে । আমি বললাম ‘মা, আমি কারণ ছুতে পারি না।’ তারা খেতে লাগল। ভাবলাম, এইবার বুৰি জপ ধ্যান করবে। তা নয়, মদ খেয়ে নাচতে আরম্ভ করলে |” নরেন্দ্রকে আবার বলিলেন, “কি জান, আমার ভাব মাতৃভাব—সন্তান ভাব। মাতৃভাব অতি শুদ্ধ ভাব, এতে কোন বিপদ নাই। স্ত্রী ভাব, বীর ভাব—বড় কঠিন, ঠিক রাখা যায় না, পতন হয়। তোমরা আপনার লোক, তোমাদের বলছি,—শেষ এই বুঝেছি—তিনি পূর্ণ, আমি তার অংশ। তিনি প্রভু, আমি তার দাস। আবার এক একবার ভাবি, তিনিই আনি, আমিই তিনি। আর ভক্তিই সার।” আর একদিন ৯ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দ, দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর ভক্তদের বলিতেছেন, আমার সস্তান ভাব । অচলানন্দ এখানে এসে মাঝে মাঝে থাকত, খুব কারণ করত। আমি স্ত্রীলোক লয়ে সাধন ভাল বলতাম না, তাই আমাকে বলেছিল, তুমি বীর ভাবের সাধন কেন মানবে না? তন্ত্রে আছে।—শিবের