পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামাচার সম্বন্ধে ত্রীরামকৃষ্ণের ও স্বামীজীর উপদেশ ସ୍ ଏo কলম মানবে না ? তিনি (শিব) সস্তান ভাবও বলেছেন—আবার বীর ভাবও বলেছেন ? আমি বললাম, কে জানে বাপু আমার ও সব ভাল লাগে না—আমার সস্তান ভাব ।”

  • ও দেশে ভগী তেলীকে কৰ্ত্তাভজার দলে দেখেছিলাম —ঐ মেয়েমানুষ নিয়ে সাধন। আবার একটি পুরুষ না হ’লে মেয়েমানুষের সাধন ভজন হবে না। সেই পুরুষটকে বলে রাগকৃষ্ণ । তিনবার জিজ্ঞাসা করে, তুই কৃষ্ণ পেয়েছিস । সেই মেয়ে মাচুষটিও তিনবার বলে কৃষ্ণ পেয়েছি।”

আর একদিন ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে, ২৩শে মার্চ। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ রাখাল, রাম প্রভৃতি ভক্তদের বলিতেছেন—“বৈষ্ণবচরণের কৰ্ত্তাভজার মত ছিল। আমি যখন ও দেশে শু্যামবাজারে যাই, তাদের বললাম, এরূপ মত আমার নয়, আমার মাতৃভাব। দেখলাম যে লম্বা লম্বা কথা কয়, আবার ব্যভিচার করে। ওরা ঠাকুর পূজা, প্রতিমা পূজা like করে না। জীবন্ত মানুষ চায়। ওরা অনেকে রাধাতন্ত্রের মতে চলে। পৃথিবীতত্ত্ব, অগ্নিতত্ত্ব, জলতত্ত্ব, বায়ুতত্ত্ব আকাশতত্ত্ব—মল, মূত্র, রজ, বীজ এই সব তত্ত্ব। এ সাধন বড় নোংরা সাধন, যেমন পাইথানার মধ্য দিয়া বাড়ীর ভিতর ঢোকা । । ঠাকুরের উপদেশ অনুসারে স্বামী বিবেকানন্দও বামাচারের খুব নিনা করিয়াছেন। তিনি বলেন, “ভারতবর্ষের প্রায় সকল স্থানে বিশেষতঃ বাঙ্গালাদেশে গুপ্তভাবে অনেকে এরূপ সাধনা করেন, তাহারা বামাচারতন্ত্রের প্রেমাণ দেখান। ও সকল তন্ত্র ত্যাগ করিয়া উপনিষদ, গীতাদি শাস্ত্র ছেলেদের পাঠ করিতে দেওয়া উচিত। শোভাবাজার ৮রাধাকান্তদেবের ঠাকুরবাড়ীতে স্বামী বিবেকানন্দ বিলাত হইতে ফিরিবার পর বেদাস্ত সম্বন্ধে একটী সারগর্ভ বক্তৃতা দেন। তাহাতে স্ত্রীলোক লইয়া সাধনার নিনা করিয়া নিম্নলিখিত কথাগুলি বলিয়াছিলেন— "Give up this filthy Vamachara that is killing your country. you have not seen the other Parts of India. When I see how much the Vamachara has entered