পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমল কুটীরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও লীযুক্ত কেশব } Y কখনো একাকী কমল কুটারের দ্বিতলস্থ উপাসনাকক্ষে পরম অন্তরঙ্গজ্ঞানে ভক্তিভরে লইয়া যাইতেন ও একাস্তে ঈশ্বরের পূজা ও আনন্দ করিতেন। ১৮৭৯ ভান্দ্রোৎসবের সময় আবার কেশব শ্রীরামকৃষ্ণকে নিমন্ত্রণ করিয়া বেলঘরের তপোবনে লইয়া যান । ১৫ই সেপ্টেম্বর সোমবার। আবার ২১শে সেপ্টেম্বর কমল কুটীরে উৎসবে যোগদান করিতে লইয়া যান। এই সময় শ্রীরামকৃষ্ণ সমাধিস্থ হইলে ব্রাহ্ম ভক্ত সঙ্গে তাহার Photo (ফটো ) লওয়া হয়। ঠাকুর দণ্ডায়মান, সমাধিস্থ । হৃদয় ধরিয়া আছেন। ২২শে অক্টোবর মহাষ্টমী—নবমীর দিন কেশব দক্ষিণেশ্বরে গিয়া তাহাকে দর্শন করিলেন । ১৮৭৯, ২৯শে অক্টোবর, বুধবার, কোজাগর পূর্ণিমায় বেলা ১টার সময়, কেশব আবার ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণকে দক্ষিণেশ্বরে দর্শন করিতে যান । Steamer-এর সঙ্গে একখানি বজরা, ছয়খানি নৌকা, দুইখানি ডিঙ্গি, প্রায় ৮০ জন ভক্ত। সঙ্গে পতাকা পুষ্পপল্লব খোল করতাল ভেরী । হৃদয় অভ্যর্থনা করিয়া কেশবকে Steamer হইতে আনেন—গান গাইতে গাইতে ‘সুরধনীর তীরে হরি বলে কে, বুঝি প্রেমদাতা নিতাই এসেছে ? ব্রাহ্ম ভক্তগণ পঞ্চবটী হইতে কীৰ্ত্তন করিতে করিতে র্তাহার সঙ্গে আসিতে লাগিলেন ; ‘সচিদানন্দ বিগ্রহ রূপানন্দ ঘন ? তাহাদের মধ্যে ঠাকুর মাঝে মাঝে সমাধিস্থ। এই দিনে সন্ধ্যার পর বাধাঘাটে পূর্ণচন্দ্রের আলোকে কেশব উপাসনা করিয়াছিলেন । উপাসনার পর ঠাকুর বলিতেছেন, তোমরা বলে ‘ব্রহ্ম-আত্মা ভগবান” ‘ব্রহ্ম মায়া জীব জগৎ? ভাগবৎ ভক্ত ভগবান’। কেশবাদি ব্রাহ্ম ভক্তগণ সেই চন্দ্রালোকে ভাগীরথী তীরে সমস্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে সঙ্গে ঐসকল মন্ত্র ভক্তিভরে উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ, আবার যখন বলিলেন, বলে “শুরু কৃষ্ণ বৈষ্ণব । তখন কেশব আনন্দে হাসিতে হাসিতে বলিতেছেন, মহাশয়, এখন অতোদুর নয় ; ‘গুরুঃকৃষ্ণ-বৈষ্ণব আমরা যদি বলি লোকে বলিবে ‘গোড়া P শ্রীরামকৃষ্ণও হাসিতে লাগিলেন ও বলিলেন, বেশ তোমরা ( ব্রাহ্ম ) যতদূর পারে তাহাই বলো ।