পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ ও ঐযুক্ত বঙ্কিম २6ं * একদিন ঠাকুর তাহার বাড়ীতে গিয়াছেন। অধর বলিলেন, আপনি অনেকদিন এবাড়ীতে আসেন নাই, ঘর মলিন হইয়াছিল ; যেন কি এক রকম গন্ধ হইয়াছিল ; আজ দেখুন, ঘরের কেমন শোভা হয়েছে । আর কেমন একটি সুগন্ধ হইয়াছে। আমি আজ ঈশ্বরকে ভারি ডেকেছিলাম। এমন কি চোখ দিয়ে জল পড়েছিল । ঠাকুর বলিলেন, ‘বল কি গো !’ ও অধরের দিকে সস্নেহে তাকাইয়া হাসিতে লাগিলেন। * আজও উৎসব হইবে । ঠাকুরও আনন্দময় ও ভক্তেরাও আনন্দে পরিপূর্ণ। কেন না যেখানে ঠাকুর উপস্থিত, সেখানে ঈশ্বরের কথা বৈ আর কোন কথাও হইবে না। ভক্তের আসিয়াছেন ও ঠাকুরকে দেখিবার জন্ত অনেকগুলি নুতন নুতন লোক আসিয়াছে। অধর নিজে ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট। তিনি র্তাহার কয়েকটি বন্ধু ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেটকে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়াছেন। তাহারা নিজে ঠাকুরকে দেখিবেন ও বলিবেন, যথার্থ তিনি মহাপুরুষ কি না । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্তবদনে ভক্তদের সহিত কথা কহিতেছেন। এমন সময় অধর কয়েকট বন্ধু লইয়া ঠাকুরের কাছে আসিয়া বসিলেন । অধর ( বঙ্কিমকে দেখাইয়l, ঠাকুরের প্রতি )—মহাশয়, ইনি ভারি পণ্ডিত, অনেক বই-টই লিখিয়াছেন। আপনাকে দেখতে এসেছেন। ইহার নাম বঙ্কিমবাবু । শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে )—বঙ্কিম! তুমি আবার কার ভাবে বাকা গো ! বঙ্কিম ( হাসিতে হাসিতে )—আর মহাশয়! জুতোর চোটে ( সকলের হাস্ত )। সাহেবের জুতোর চোটে বাকা । [ বঙ্কিম ও রাধাকৃষ্ণ-যুগলরূপের ব্যাখ্য' ] শ্রীরামকৃষ্ণ-না গো, শ্ৰীকৃষ্ণ প্রেমে বঙ্কিম হয়েছিলেন। শ্ৰীমতীর প্রেমে ত্রিভঙ্গ হয়েছিলেন। কৃষ্ণরূপের ব্যাখ্যা কেউ কেউ করে, শ্রীরাধার প্রেমে ত্রিভঙ্গ। কালো কেন জান ? আর চৌদ্দপো অত ছোট কেন ? যতক্ষণ ঈশ্বর দূরে, ততক্ষণ কালো দেখায় ; যেমন সমুত্রের জল দূর থেকে নীলবর্ণ দেখায়। সমুদ্রের জলের কাছে গেলে ও হাতে করে তুললে আর কালেী