পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীযুক্ত বঙ্কিম ও ভক্তিযোগ-ঈশ্বরপ্রেম २७१ ঘরের দরজার কাছে আসিয়া দেখেন, চাদর ফেলিয়া আসিয়াছেন। গায়ে শুধু জামা। একটি বাবু চাদরখানি কুড়াইয়া লইয়া ছুটিয়া আসিয়া চাদর র্তাহার হস্তে দিলেন। বঙ্কিম কি ভাবিতে ছিলেন ? রাখাল আসিয়াছেন। তিনি শ্ৰীবৃন্দাবনধামে বলরামের সঙ্গে গিয়াছিলেন। সেখান হইতে কিছুদিন ফিরিয়াছেন। ঠাকুর, তাহার কথা শরৎ ও দেবেজের কাছে বলিয়াছিলেন ও র্তাহার সহিত আলাপ করিতে তাছাদের বলিয়াছিলেন । তাই তাছারা রাখালের সঙ্গে আলাপ করিতে উৎসুক হইয়া আসিয়াছিলেন । শুনিলেন, এরই নাম রাখাল । শরৎ ও সান্তাল এর ব্রাহ্মণ, অধর সুবর্ণবণিক। পাছে গৃহস্বামী খাইতে ডাকেন, তাই তাড়াতাড়ি পলাইয়া গেলেন। তাহারা নূতন আসিতেছেন ; এখনও জানেন না, ঠাকুর অধরকে কত ভালবাসেন । ঠাকুর বলেন, ভক্ত একট পৃথক জাতি। সকলেই এক জাতীয়। অধর ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণকে ও সমবেত ভক্তদের অতি যত্বপূর্বক আহ্বান করিয়া পরিতোষ করিয়া খাওয়াইলেন। ভোজনাস্তে ভক্তগণ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মধুর কথাগুলি স্মরণ করিতে করিতে, তাহার অদ্ভূত প্রেমের ছবি হৃদয়ে গ্রহণ পূর্বক গৃহে প্রত্যাবর্তন করিলেন। অধরের বাটিতে শুভাগমনের দিনে শ্ৰীযুক্ত বঙ্কিম শ্রীরামকৃষ্ণকে তাহার বাটতে যাইবার জন্ত অনুরোধ করাতে কিছুদিন পরে শ্ৰীযুক্ত গিরীশ ও মাষ্টারকে তাহার সান্‌কীভাঙ্গার বাসায় পাঠাইয়া দিয়াছিলেন। তাঁহাদের সহিত শ্রীরামকৃষ্ণ সম্বন্ধে অনেক কথা হয়। ঠাকুরকে আবার দর্শন করিতে আসিবার ইচ্ছ। বঙ্কিম প্রকাশ করেন, কিন্তু কাৰ্য্যগতিকে আর আসা হয় নাই। [ দক্ষিণেশ্বরে পঞ্চবটমূলে দেবী চৌধুরাণী পাঠ ] ৬ই ডিসেম্বর ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে ঐযুক্ত অধরের বাটতে ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ শুভাগমন করিয়াছিলেন ও শ্ৰীযুক্ত বঙ্কিম বাবুর সহিত আলাপ করিয়াছিলেন। প্রথম হইতে ষষ্ঠ পরিচ্ছেদে এই সব কথা বিবৃত হইল। এই ঘটনার কিছুদিন পরে অর্থাৎ ২৭এ ডিসেম্বর শনিবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ