পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বর লাভের পর সংসারে নির্লিপ্ত ३१> যার যা প্রকৃতি সেই অনুসারে এসেছ । উদ্দেশ্য এক—কেউ আগে এসেছে, কেউ পরে এসেছে।” [ ঈশ্বর দর্শনের উপায়, অহঙ্কার ত্যাগ ] ঐরামকৃষ্ণ ( কেশব প্রভৃতির প্রতি )—উপাধি যতই যাবে, ততই তিনি কাছে হবেন। উচু ঢিপিতে বৃষ্টির জল জমে না। খাল জমিতে জমে ; তেমনি তার কৃপাবারি, যেখানে অহঙ্কার, সেখানে জমে না। তার কাছে দীনহীন ভাবই ভাল । “খুব সাবধানে থাকতে হয়, এমন কি কাপড়চোপড়েও অহঙ্কার হয়। পিলে রোগী দেখেছি কালাপেড়ে কাপড় পরেছে, অমনি নিধুবাবুর টপ্পা গাইছে!” وي “কেউ বুট পরেছে অমনি মুখে ইংরাজী কথা বেরুচ্ছে!” “সামান্ত আধার হলে গেরুয়া পরলে অহঙ্কার হয় ; একটু ক্রটি হলে ক্রোধ, অভিমান হয় ।” [ ভোগাভ্যস্ত, ব্যাকুলতা ও ঈশ্বর লাভ ] “ব্যাকুল না হলে তাকে দেখা যায় না । এই ব্যাকুলতা ভোগাস্ত না হলে হয় না। যারা কামিনীকাঞ্চনের মধ্যে আছে, ভোগাস্ত হয় নাই, তাদের ব্যাকুলত আসে না।”

  • ওদেশে হৃদয়ের ছেলে সমস্ত দিন আমার কাছে থাকত, চারপাচ বছরের ছেলে। আমার সামনে এটা ওটা খেলা করত, একরকম ভুলে থাকত। যাই সন্ধ্যা হয় হয়, অমনি বলে—ম যাব । আমি কত বলতুম—পায়রা দেবি, এই সব কথা, সে ভুলত না, কেঁদে কেঁদে বলত—ম যাব। খেলা টেল। কিছুই ভাল লাগছে না। আমি তার অবস্থা দেখে কাদতুম।”

“এই বালকের মত ঈশ্বরের জন্ত কান্না । এই ব্যাকুলতা। আর খেলা, খাওয়া কিছুই ভাল লাগে না । ভোগাস্তে এই ব্যাকুলতা ও তার জন্ত কান্না ” সকলে অবাক হইয়া নিঃশব্দে এই সকল কথা শুনিতেছেন।