భిల్ల్లోika
&ፃ8 শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ পরিশিষ্ট
“যিনি অখণ্ড সচ্চিদানন্দ তিনিই শ্ৰীকৃষ্ণ । দূর থেকে দেখলে সমুদ্র নীলবর্ণ দেখায়, কাছে যাও কোন রং নাই। যিনিই স্বগুণ, তিনিই নিগুৰ্ণ। যারই নিত্য, তারই লীলা ।
শ্ৰীকৃষ্ণ ত্রিভঙ্গ কেন ? রাধার প্রেমে ।
“যিনিই ব্ৰহ্ম তিনিই কালী, আদ্যাশক্তি, স্মৃষ্টি-স্থিতি প্রলয় করেছেন। যিনি কৃষ্ণ তিনিই কালী।
“মূল এক—র্তার সমস্ত খেলা, লীলা।”
[ ঈশ্বর দর্শনের উপায় ]
“র্তাকে দর্শন করা যায়। শুদ্ধমন, শুদ্ধ বুদ্ধিতে দর্শন করা যায়। কামিনীকাঞ্চনে আসক্তি থাকলে মন মলিন হয়।
“মন নিয়ে কথা । মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে রঙে ছোপাবে, সেই রং হবে! মনেতেই জ্ঞানী, মনেতেই অজ্ঞান। অমুক লোক খারাপ হয়ে গেছে অর্থাৎ অমুক লোকের মনে খারাপ রঙ ধরেছে।
শ্ৰীযুক্ত ত্ৰৈলোক্য সাম্যাল ও অন্তান্ত ব্রাহ্মভক্ত এইবার আসিয়া আসন গ্রহণ
করিলেন।
সুরেন্দ্র মালা লইয়া ঠাকুরকে পরাইতে আসিলেন। তিনি মালা হাতে লইলেন–কিন্তু দূরে নিক্ষেপ করিয়া একপাশে রাখিয়া দিলেন।
সুরেন্দ্র অশ্রুপূর্ণ লোচনে পশ্চিমের বারাওয়ে গিয়া বসিলেন –সঙ্গে রাম ও মন্মোহন প্রভৃতি। সুরেজ অভিমানে বলিতেছেন —আমার রাগ হয়েছে ; রাড়, দেশের বামুন এসব জিনিষের মর্য্যাদা কি জানে। অনেক টাকা খরচ করে এই মালা ; ক্রোধে বললাম সব মালা আর সকলে গলায় দাও । এখন বুঝতে পারছি আমার অপরাধ ; ভগবান পয়সার কেউ নয় ; অহঙ্কারের কেউ নয় । আমি অহঙ্কার, আমার পূজা কেন লবেন। আমার বাচতে ইচ্ছা নাই ।
বলিতে বলিতে অশ্রধারা গও বাহিয়া পড়িতে লাগল ও বুক ভাসিয়া যাইতে লাগিল ।
পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৯৩
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
