পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে কেদারের উৎসব ף מ “লাভের পর যদি কেউ বিচার করে, সে যেমন মৌমাছি মধু পান করতে করতে আধ আধ গুন্‌ গুন করে।” ওস্তাদটি বেশ গান গাহিয়াছিলেন। ঠাকুর প্রসন্ন হইয়াছেন। তাহাকে বলিতেছেন, যে মানুষের একটি বড় গুণ আছে, যেমন সঙ্গীত বিদ্যা, তাতে ঈশ্বরের শক্তি আছে বিশেষরূপে ! ওস্তাদ—মহাশয়, কি উপায়ে ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। ঐরামকৃষ্ণ—ভক্তিই সার, ঈশ্বর তো সৰ্ব্বভূতে আছেন; তবে ভক্ত কাকে বলি? যার মন সৰ্ব্বদা ঈশ্বরেতে আছে! আর অহঙ্কার অভিমান থাকলে হয় না ! “আমি” রূপ ঢিপিতে ঈশ্বরের কৃপারূপ জল জমে না; গড়িয়ে যায়। আমি যন্ত্র। (কেদারাদি ভক্তদের প্রতি)—“সব পথ দিয়ে তাকে পাওয়া যায়। সব ধৰ্ম্মই সত্য ! ছাদে উঠা নিয়ে বিষয়। তা তুমি পাকা সিড়ি দিয়েও উঠতে পার ; কাঠের সিড়ি দিয়েও উঠতে পার ; বাশের সিড়ি দিয়েও উঠতে পার, আর দড়ি দিয়েও উঠতে পার। আবার একটি আছোলা বাশ দিয়েও উঠতে পার। “যদি বল, ওদের ধৰ্ম্মে অনেক ভুল, কুসংস্কার আছে ; আমি বলি তা থাকলেই বা, সকল ধৰ্ম্মেই ভুল আছে ! সবাই মনে করে আমার ঘড়িই ঠিক যাচ্ছে। ব্যাকুলত থাকলেই হলো ; তার উপর ভালবাসা, টান থাকলেই হল । তিনি যে অন্তর্যামী, অস্তরের টান ব্যাকুলতা দেখতে পান। মনে কর এক বাপের অনেকগুলি ছেলে, বড় ছেলেরা কেউ বাবা, কেউ পাপা এই সব স্পষ্ট বলে তাকে ডাকে। আবার অতি শিশু ছোট ছেলে হদ ‘বা’ কি “পা” এই বলে ডাকে ! যারা ‘বা’ কি “পা” পৰ্য্যস্ত বলতে পারে বাবা কি তাদের উপর রাগ করবেন ? বাবা জানেন যে ওরা আমাকেই ডাকছে তবে ভাল উচ্চারণ করতে পারে না। বাপের কাছে সব ছেলেই সমান। “আবার ভক্তেরা তাকেই নানা নামে ডাকছে ; এক ব্যক্তিকেই ডাকছে। ' এক পুকুরের চারিটি ঘাট। হিন্দুরা জল খাচ্ছে এক ঘাটে বলছে জল ; মুসলমানরা আর এক ঘাটে খাচ্ছে বলছে পানি ; ইংরাজরা আর এক ঘাটে খাচ্ছে বলছে ওয়াটার (Water ) ; আবার অন্ত লোক এক ঘাটে, বলছে Aqua ৷ এক ঈশ্বর তাঁর নানা নাম ।” -C:직