পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলরাম-মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ *S রঙ্গস্থলে নানারূপ থেলা অনেকক্ষণ ধরিয়া দেখা হইল। গোলাকার রাস্তায় ঘোড দৌডিতেছে। ঘোডার পৃষ্ঠে এক পায়ে বিবি দাড়াইয়া । আবার মাঝে মাঝে সামনে বড় বড় লোহার ring ( চক্র ) । রিংএর কাছে আসিয়া ঘোড়া যখন রিংএর নীচে দৌড়িতেছে, বিবি ঘোড়ার পৃষ্ঠ হইতে লম্ফ দিয়। রিংএর মধ্য দিয়া পুনরায় ঘোড় পৃষ্ঠে আবার এক পায়ে দাড়াইয়া ! ধোড়া পুনঃ পুন: বন বন করিয়া ঐ গোলাকার পথে দৌড়াইতে লাগিল, বিবিও আবার ঐক্কপ পৃষ্ঠে দাড়াইয়া ! সক{স সমাপ্ত হইল । ঠাকুর ভক্ত সঙ্গে মামিয়া আসিয়া ময়দানে গাড়ীর কাছে আসিলেন । শীত পড়িয়াছে। গণয়ে সবুজ বনাত দিয়া মাঠে দাডাইয়া কথা কহিতেছেন, কাছে ভক্তের দাড়াইয়া আছেন । একজন ভক্তের হাতে বটুয়াটি ( মশলার ছোট থলেট ) রহিয়াছে। তাহাতে মশলা বিশেষতঃ কাববচিনি আছে । [ আগে সাধন, তার পর সংসার, অভ্যাসযোগ ] শ্রীরামকৃষ্ণ মাষ্টারকে বলিতেছেন, ‘দেখলে, বিবি কেমন এক পায়ে ঘোড়ার উপর দাড়িয়ে আছে, আর ঘোড়া বল্ বম্ ক’রে দৌড়,চ্ছে ! কত কঠিন, অনেকদিন ধ’রে অভ্যাস করেছে, তবে ত হয়েছে! একটু অসাবধান হলেই হাত-পা ভেঙ্গে যাবে, আবার মৃত্যুও হতে পারে। সংসার করা ঐক্লপ কঠিন। অনেক সাধন-ভজন করলে ঈশ্বরের কৃপায় কেউ কেউ পেরেছে। অধিকাংশ লোক পারে না। সংসার করতে গিয়ে আরও বদ্ধ হয়ে যায় ; আরও ডুবে যায় ; মৃত্যুযন্ত্রণ হয়! কেউ কেউ, যেমন জনকাদি, অনেক তপস্তার বলে । সংসার করেছিলেন। তাই সাধন-ভজন খুব দরকার, তা না হ’লে সংসারে ঠিক থাকা যায় না।” [ বলরাম-মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ ] শ্রীরামকৃষ্ণ গাড়ীতে উঠিলেন। গাড়ী বাগবাজারে বক্সপাড়ায় বলরামের বাটীর দ্বারে উপস্থিত হইল। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে দোতলার বৈঠকখানায় গিয়া বসিলেন। সন্ধ্যার বাতি জাপা হইয়াছে । ঠাকুর সার্কাসের গল্প করিতেছেন