পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচাৰ্য্য শ্ৰীবেচারাম—ব্ৰহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে 8ፃ শ। এদের মধ্যে সত্ত্ব গুণই ঈশ্বরের পথ দেখিয়ে দেয়। কিন্তু ঈশ্বরের সত্ত্ব গুণও নিয়ে যেতে পারে না । একজন ধনী, বনপথ দিয়ে যাচ্ছিল, এমন সময় তিনজন ডাকাত এসে তাকে ঘিরে ফেল্পে ও তার সর্বস্ব হরণ করলে। সব কেড়ে কুড়ে নিয়ে একজন ডাকাত বল্পে, আর একে রেখে কি হবে ? একে মেরে ফেল’ ; এই বলে তাকে কাটতে এল। দ্বিতীয় ডাকাত বল্লে, ‘মেরে ফেলে কাজ নে' একে আষ্টে পিষ্টে বেঁধে এইখানেই ফেলে রেখে যাওয়া যাক। ত । পুলিশকে খবর দিতে পারবে না’ এই বলে শুকে বেঁধে রেখে ডাব । চলে গেল। খানিকক্ষণ পরে তৃতীয় ডাকাতটা ফিরে এল। এসে । ‘আহা, তোমার বড় লেগেছে, না ? আমি তোমার বন্ধন খুলে দিচ্ছি "ৈ খুলবার পর লোকটাকে সঙ্গে করে নিয়ে ডাকাত পথ দেখিয়ে দেখিয়ে চলতে লাগল। সরকারী রাস্তার কাছে এসে বললে, এই পথ ধরে যাও, এখন তুমি অনায়াসে নিজের বাড়ী যেতে পারবে। লোকটি বল্লে, সে কি মহাশয়, আপনিও চলুন, আপনি আমার কত উপকার করলেন। আমাদের বাড়ীতে গেলে আমরা কত আনন্দিত হব। ডাকাতটি বল্পে, না আমার ওখানে যাবার যো নাই ; গুলিশ ধরবে। এই বলে সে পথ দেখিয়ে দিয়ে চলে গেল।” : প্রথম ডাকাতটি তমোগুণ, যে বলেছিল, “একে রেখে আর কি হবে, মেরে ফেল ।” তমোগুণে বিনাশ হয়। দ্বিতীয় ডাকাতটি রজোগুণ, রজোগুণে মাম্বল সংসারে বদ্ধ হয়, নানা কাজ জড়ায়। রজোগুণ ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়।: সত্ত্বগুণই কেবল ঈশ্বরের পথ দেখিয়ে দেয়। দয়া, ধৰ্ম্ম, ভক্তি, এ সব সত্ত্বগুণ । থেকে হয়। সত্ত্বগুণ যেন সিড়ির শেষ ধাপ, তার পরেই ছাদ। মানুষের স্বথাম হচ্চে পরব্রহ্ম। ত্রিগুণাতীত না হ’লে, ব্ৰহ্মজ্ঞান হয় না।” আচাৰ্য্য—বেশ সব কথা হ’লো । স্ত্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে )—ভক্তের স্বভাব কি জান ? আমি বলি তুমি গুন; : তুমি বল আমি শুনি ! তোমরা আচাৰ্য্য, কত লোককে শিক্ষা দিচ্ছ। তোমরা. জাহাজ, আমরা জেলেডিঙ্গি پیدا সকলের হান্ত )। ஆ"