to শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত-৫ম ভাগ ( ১৮৮৩, ২৭শে মে,
- ী যে স্বামীর সেবা করে সেও নিষ্ঠা ভক্তি ; দেবর ভাস্বরকে খাওয়ায়, পা ধোয়ার জল দেয়, কিন্তু স্বামীর সঙ্গে অন্ত সম্বন্ধ। সেইরূপ নিজের ধৰ্ম্মতেও নিষ্ঠ হতে পারে। তা বলে অন্য ধৰ্ম্মকে ঘৃণ্য করবে না। বরং তাদের সঙ্গে মিষ্ট ব্যবহার করবে।
[ জগৎমাতার পূজা ও আত্মপূজা–‘বিপদনাশিনী মন্ত্র ও নৃত্য ] ঠাকুর গঙ্গাস্নান করিয়া কালী ঘরে গিয়াছেন। সঙ্গে মাষ্টার। ঠাকুর পূজার আসনে উপবিষ্ট হইয়া, মার পাদপদ্মে ফুল দিতেছেন, মাঝে মাঝে নিজের মাথায়ও দিতেছেন ও ধ্যান করিতেছেন। অনেকক্ষণ পরে ঠাকুর আসন হইতে উঠিলেন। ভাবে বিভোর ; নৃত্য করিতেছেন। আর মুখে মার নাম করিতেছেন। বলিতেছেন, ‘মা বিপদনাশিনী, গো বিপদনাশিনী! দেহ ধারণ করলেই দুঃখ বিপদ ; তাই বুঝি জীবকে শিখাইতেছেন তাহাকে ‘বিপদনাশিনী’ এই মহামন্ত্র উচ্চারণ করিয়া কাতর হইয়া ডাকিতে । [ পূৰ্ব্বকথা—হীরামকৃষ্ণ ও ঝামাপুকুরের নকুড় বাবাজী ] এইবার ঠাকুর নিজের ঘরের পশ্চিম বারাণ্ডায় আসিয়া'উপবিষ্ট হইয়াছেন। এখনও ভাবাবেশ রহিয়াছে। কাছে রাখাল, মাষ্টার, নকুড় বৈষ্ণব প্রভৃতি। লকুড় বৈষ্ণবকে ঠাকুর ২৮২৯ বৎসর ধরিয়া জানেন। যখন তিনি প্রথম কলিকাতায় আসিয়া ঝামাপুকুরে ছিলেন ও বাড়ী বাড়ী পূজা করিয়া বেড়াইতেন তখন নকুড় বৈষ্ণবের দোকানে আসিয়া মাঝে মাঝে বসিতেন ও আনন্দ করিতেন। পেনেটতে রাঘব পণ্ডিতের মহোৎসব উপলক্ষে নকুড় বাবাজী ইদানীং ঠাকুরকে প্রায় বর্ষে বর্ষে দর্শন করিতেন। নকুড় ভক্ত বৈষ্ণব, মাঝে মাঝে তিনিও মহোৎসব দিতেন। নকুড় মাষ্টারের প্রতিবেশী। ঠাকুর ঝামাপুকুরে যখন ছিলেন, গোবিন্দ চাটুৰ্য্যের বাড়ীতে থাকিতেন। সেই পুরাতন বাটী নকুড় মাষ্টারকে দেখাইয়াছিলেন। , -o