পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શંજી গ্ৰথম পরিচ্ছেদ কলিকাতায় বলরাম ও অধরের বাটীতে গ্রীরামকৃষ্ণ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর মন্দির হইতে কলিকাতায় আসিতেছেন। বলরামের বাটী হইয়া অধরের বাড়ী যাইবেন। তারপর রামের বাড়ী যাইবেন । অধরের বাড়ীতে মনোহরর্সাই কীৰ্ত্তন হইবে। রামের বাড়ীতে কথকতা হইবে। আজ শনিবার ২০শে জ্যৈষ্ঠ, কৃষ্ণ দ্বাদশী, ২রা জুন, ১৮৮৩ খৃঃ অঃ । ঠাকুর গাড়ী করিয়া আসিতে আসিতে রাখাল ও মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তদের নলিতেছেন, “দেখ, তার উপর ভালবাসা এলে পাপ টপ সব পালিয়ে যায়, স্বৰ্য্যের তাপে যেমন মেঠো পুকুরের জল শুকিয়ে যায়।” [ সন্ন্যাসী ও গৃহস্থের বিষয়াসক্তি ]

  • বিষয়ের উপর, কামিনীকাঞ্চনের উপর, ভালবাসা থাকলে হয় না। সন্ন্যাল করলেও হয় না যদি বিষয়াসক্তি থাকে। যেমন থুথু ফেলে আবার খুধু খাওয়া !” ... কিয়ৎক্ষণ পরে গাড়ীতে ঠাকুর আবার বলিতেছেন, ব্ৰহ্মজ্ঞানীরা সাকার মানে না। (সহস্তে ) নরেন্দ্র বলে পুত্তলিকা’! আবার বলে, উনি এখনও কালীঘরে যান।”

[ শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরলীলা দর্শন ও আস্বাদন ] ঠাকুর বলরামের বাড়ী আসিয়াছেন। ঠাকুর হঠাৎ ভাবাবিষ্ট হইয়াছেন। বুঝি দেখিতেছেন, ঈশ্বরই জীব জগৎ হইয়া রহিয়াছেন, ঈশ্বরই মানুষ হইয় বেড়াইতেছেন। জগৎমাতাকে বলিতেছেন, “ম, একি দেখাচ্ছে। থাম ; আবার কত কি ! রাখাল টাখালকে