পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে । মণিমল্লিক, গোবিন্দ প্রভূতি সঙ্গে । >创 _r్కూూ_శాలూ...*ూ*.* శ్కా* ===छक्लञ्ज নিঃশব্দে বসিয়া ঠাকুরের শান্ত মূৰ্ত্তি দেখিতেছেন। ঠাকুর ভাবাবিষ্ট। ৰিয়ৎ- * ক্ষণ পরে কথা কহিলেন। এখনও ভাবাৰস্থা । - - { শুামারপ—পুরুষ প্রকৃতি—যোগমায়া—শিবকালী ও রাধাকৃষ্ণ gর ব্যাখ্যা—উত্তম ভক্ত –বিচার পথ। ] . . . ত্রিীরামকৃষ্ণ $ বল তোমাদের যা সংশয়। আমি সব বলছি । গোবিন্দ ও অন্যান্য ভক্তেরা ভাবিতে লাগিলেন। - গোবিন্দ । আজ্ঞ, খামা এ রূপট হ’ল কেন ? : শ্রীরামকৃষ্ণ । সে দুর বলে । কাছে গেলে কোন রংই নাই! দীঘির জল দূর থেকে কাল দেখায়, কাছে গিয়ে হাতে করে তোল কোন রং নাই । . আকাশ দূর থেকে যেন নীলবর্ণ। কাছের আকাশ দেখ, কোন রং নাই। ঈশ্বরের যত কাছে যাবে, ততই ধারণা হবে তার নাম রূপ নাই, পেছিয়ে একটু দূরে এলে আবার ‘আমার শুামা মা ! যেন ঘাসফুলের রং ! “খাম পুরুষ না প্রকৃতি ? এক জন ভক্ত পূজা করেছিল । এক জন দর্শন : করতে এসে দেখে ঠাকুরের গলায় পৈতে রয়েছে। সে বন্থে, তুমি মাৱ । গলায় পৈতে পরিয়ে রেখেছ! ভক্তটি বললে, “ভাই, তুমিই মাকে চিনেছ! আমি এখনও চিনিতে পারি নাই, তিনি পুরুষ কি প্রকৃতি ! তাই পৈতে । পরিয়েছি।” “যিনি খাম, তিনিই ব্ৰহ্ম । যারই রূপ, তিনিই অরূপ। যিনি সগুণ " তিনিই নিগুণ। ব্ৰহ্মশক্তি–শক্তি ব্রহ্ম। অভেদ। সচ্চিদানন্দময় আর সচ্চিদানন্দময়ী।” গোবিন্দ । যোগমায়া কেন বলে ? - . ঐরামকৃষ্ণ। যোগমায়া অর্থাৎ পুরুষপ্রকৃতির যোগ। ষা কিছু দেখছ সবই পুরুষপ্রকৃতির যোগ ! শিবকালীর মুক্তি, শিবের উপর কালী দাড়িয়ে আছেন। শিব শব হয়ে পড়ে আছেন। কালী শিবের দিকে চেয়ে আছেন। এই সমস্তই । পুরুষপ্রকৃতির যোগ। পুরুষ নিক্রিয়, তাই শিব শব হয়ে আছেন । পুরুষের যোগে প্রকৃতি সমস্ত কাজ করছেন। স্বষ্টি স্থিতি প্ৰলয় করছেন। ; . - “রাধাকৃষ্ণ যুগল মূৰ্ত্তিরও মানে ঐ । ঐ যোগের জন্য বঙ্কিম ভাব । সেই যোগ দেখার জন্তই শ্ৰীকৃষ্ণের নাকে মুক্ত ; শ্ৰীমতীর নাকে নীল স্কৃgর। শ্ৰীমতীর গৌর বরণ, মুক্তার ন্যায় উজ্জ্বল। শ্ৰীকৃষ্ণের স্তামবৰ্ণ, তাই শ্ৰীমতীর নীলপাথর। আবার প্রকৃষ্ণ পীতবসন ও ক্রমতী নীলবসন পরেছেন। ।