পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । সমাধিভঙ্গের পর । { সচ্চিদানন্দ লাভের উপায় । জ্ঞানী ও ভক্তের প্রভেদ । ] সমাধি ভঙ্গ হইল। ইতিপূৰ্ব্বে নরেন্দ্র শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি দৃষ্টি কক্ষ ত্যাগ করিয়া পূৰ্ব্বদিকের বারাণ্ডায়ু চলিয়া গিয়াছেন। সেখানে হাজরা মহাশয় কম্বলাসনে হরিনামের মালা হাতে করিয়া বসিয়৷ আছেন। তাহার সঙ্গে নরেন্দ্র আলাপ করিতে লাগিলেন । এদিকে ঘরে এক ঘর লোক হইয়াছে । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সমাধিভঙ্গের পর ভক্তদের মধ্যে দৃষ্টিপাত করিলেন। দেখেন যে, মরেন্দ্ৰ নাই। শূন্ত তানপুরা পড়িয়া রহিয়াছে। আর ভক্তগণ সকলে তার দিকে ঔৎস্থক্যের সহিত চাহিয়া রহিয়াছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ । আগুণ জেলে গেছে, এখন থাকুলে। আর গেল ! { কাপ্তেন ও অন্যান্য ভক্তদিগের প্রতি ) ৷ চিদানন্দ আরোপ কর, তোমাদেরও আনন্দ হবে। চিদানন্দ আছেই –কেবল আবরণ ও বিপেক্ষ। বিষয়াসক্তি যত কম্বে, ঈশ্বরে প্রতি মতি তত বাড়বে। _ কাপ্তেন। কলিকাতার বাড়ীর দিকে মত আসবে, কাশী থেকে তত তফাৎ হবে। আবার কাশীর দিকে যত যাবে, বাড়ী থেকে তত তফাৎ হবে । শ্রীরামকৃষ্ণ । শ্ৰীমতী যত কৃষ্ণের দিকে এগুচ্চেন, ততই কৃষ্ণের দেহগন্ধ পাচ্ছিলেন । ঈশ্বরের নিকট যত যাওয়া যায়, ততই তাতে ভাবভক্তি হয় । সাগরের নিকট নদী যতই যায়, ততই জোয়ার ভাট দেখা যায় । “জ্ঞানীর ভিতর একটানা গঙ্গা বহিতে থাকে । তার পক্ষে সব স্বপ্লবৎ । সে সৰ্ব্বদা স্বস্বরূপে থাকে। ভক্তের ভিতর একটান নয় ; জোয়ার ভাটা হয়। হাসে, কাদে, নাচে, গায়। ভক্ত তার সঙ্গে বিলাস ক’ত্তে ভালবাসে–কথন সাতার দেয়, কখন ডুবে, কখন উঠে—যেমন জলের ভিতর বরফ টাপুর টুপুর —‘টাপুর টুপুর'—করে। (সকলের হাস্য )। s ( সচ্চিদানন্দ ও সচ্চিদানন্দময়ী। ব্ৰহ্ম ও আস্তাশক্তি অভেদ।) “জ্ঞানী ব্রহ্মকে জানতে চায়। ভক্তের ভগবান—ঘড়ৈশ্বৰ্য্যপূর্ণ সৰ্ব্বশক্তিমান ভগবান। কিন্তু বস্তুতঃ ব্ৰহ্ম আর শক্তি অভেদ—যিনি সচ্চিদানন্দ, তিনিই সচ্চিদানন্দময়ী ; যেমন মণির জ্যোতি ও মণি ; মণির জ্যোতি: ব’ল্লেই মণি