পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । [ বিজয়ের নির্জনে সাধন । ] ঐযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী সবে গয়া হইতে ফিরিয়াছেন। সেখানে অনেক দিন নির্জনে বাস ও সাধুসঙ্গ হইয়াছিল। এক্ষণে তিনি গৈরিক বসন পরিধান করিয়াছেন। অবস্থা ভারী সুন্দর, যেন সৰ্ব্বদ অন্তমুখ। পরমহংসদেবের নিকট হেটমুখ হইয়া রহিয়াছেন ; যেন মগ্ন হইয়৷ কি ভাবিতেছেন। 争 বিজয়কে দেখিতে দেখিতে পরমহংসদেব তাহাকে বলিলেন, “বিজয় ! তুমি কি বাসা পাকড়েছ ?” "দেখ, দু’জন সাধু ভ্রমণ করতে ক’বৃতে একটি সহরে এসে পড়েছিল। একজন হ করে সহরের বাজার, দোকান, বাড়ী, দেখ ছিল ; এমন সময়ে অপরটর সঙ্গে দেখা হ’ল। তখন সে সাধুটী বল্পে, তুমি হা ক’রে সহর দেখছ, তল্লী তাল্লা কোথায় ? প্রথম সাধুটী ব’ল্পে, আমি আগে বাসা পাকুড়ে, তল্পী তাল্পা রেখে, ঘরে চাবি দিয়ে, নিশ্চিন্ত হ’য়ে বেরিয়েছি। এখন সহরে রং দেখে বেড়াচ্ছি। তাই তোমায় জিজ্ঞাসা করছি, তুমি কি বাস পাকড়েছ ?” ( भांडेॉब्र ইত্যাদির প্রতি ) “দেখ, বিজয়ের এতদিন ফোয়ার চাপা ছিল, এইবার খুলে গেছে।" বিজয় ও শিবনাথ। নিষ্কাম কৰ্ম্ম ও সকাম কৰ্ম্ম। শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি )। দেখ শিবনাথের ভারী ঝঞ্চাট । খবরের কাগজ লিখতে হয়, আর অনেক কৰ্ম্ম কৰ্ত্তে হয়। বিষয়-কৰ্ম্ম করলেই অশান্তি হয়, অনেক ভাবনা চিন্তা জোটে। “শ্ৰীমদ্ভাগবতে আছে যে, অবধূত চব্বিশ গুরুর মধ্যে চিলকে একটা গুরু ক’রেছিলেন। এক জায়গায় জেলের মাছ ধৰ্ত্তে ছিল, একটী চিল এসে একটা মাছ ছে৷ মেরে নিয়ে গেলে । কিন্তু মাছ দেখে পেছনে পেছনে প্রায় এক হাজার কাক চিলকে তাড়া করে গেল ; আর একসঙ্গে কী কী ক'রে বড় গোলমাল কৰ্ত্তে লাগলো। মাছ নিয়ে চিল যে দিকে যায়, কাকগুলোও তাড় করে সেই দিকে যেতে লাগলো। দক্ষিণ দিকে চিলটা গেল; কাকগুলাও সেই দিকে গেল ; আবার উত্তরদিকে যখন সে গেল, ওরাওঁ সেই দিকে গেল।