পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সি দুরিয়াপটী ব্রাহ্মসমাজ দর্শন। বিজয়াদি সঙ্গে । ১১১ এইরূপে পূৰ্ব্বদিকে ও পশ্চিমদিকে চিল ঘুরতে লাগলে । শেষে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ঘুরতে ঘুরতে মাছট। তার কাছ থেকে পড়ে গেল। তখন কাক গুল চিলকে ছেড়ে মাছের দিকে গেল। চিল তখন নিশ্চিন্ত হ’য়ে একট। গাছের ডালের উপর গিয়ে বসলো। ব’সে ভাবতে লাগলো—ঐ মাছট। যত গোল ক’রেছিল। এখন মাছ কাছে নাই, তাই আমি নিশ্চিন্ত হ’লুম।” । “অবধূত চিলের কাছে এই শিক্ষা করলেন যে, যতক্ষণ সঙ্গে মাছ থাকে অর্থাং বাসন থাকে, ততক্ষণ কৰ্ম্ম থাকে, আর কৰ্ম্মের দারুণ ভাবনা, চিন্ত৷ অশান্তি। বাসনাত্যাগ হ'লেই কৰ্ম্ম ক্ষয় হয় আর শান্তি হয়।" | “তবে নিষ্কাম কৰ্ম্ম ভাল। তাতে অশান্তি হয় না। কিন্তু নিষ্কাম কর। বড় কঠিন। মনে করছি, নিষ্কাম কৰ্ম্ম ক’রছি, কিন্তু কোথা থেকে কামনা এসে পড়ে, জানতে দেয় না। আগে যদি অনেক সাধন থাকে, সাপনের বলে কেউ কেউ নিষ্কাম কৰ্ম্ম ক’ৰ্ত্তে পারে । ঈশ্বর দর্শনের পর নিষ্কাম কৰ্ম্ম অনায়াসে করা যায়। ঈশ্বর দর্শনের পর প্রায় কৰ্ম্মত্যাগ হয় ; দুই একজন ( নারদাদি ) লোকশিক্ষার জন্য কৰ্ম্ম করে । [ সন্ন্যাসী ও সঞ্চয় । ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( বিজয়ের প্রতি ) । অবধূতের আর একটা গুরু ছিল— মৌমাছি। মৌমাছি অনেক কষ্টে অনেক দিন ধ’রে মধুসঞ্চয় করে। কিন্তু সে মধু নিজের ভোগ হয় না। আর একজন এসে চাক ভেঙ্গে নিয়ে যায়। মৌমাছির কাছে অবধূত এই শিখলেন যে, সঞ্চয় ক’ৰ্ত্তে নাই। সাধুরী ঈশ্বরের উপর ষোল আন নির্ভর করবে। তাদের সঞ্চয় ক’ৰ্ত্তে নাই। • * “এটা সংসারীর পক্ষ নয়। সংসারীর সংসার প্রতিপালন করতে হয়। তাই, সঞ্চয়ের দরকার হয় । পনছী ( পার্থী ) আউর দৰ্ব্বেশ ( সাধু) সঞ্চয় করে না। কিন্তু পাপীর ছান হ’লে সঞ্চয় করে ;–ছানার জন্য মুখে ক’রে থাবার অানে । - “দেখ বিজয়, সাধুর সঙ্গে যদি পুটলী পাটল থাকে, পনরটা গট ওয়াল যদি কাপড় বুচকি থাকে, তাহলে তাদের বিশ্বাস কোরো না। আমি বটতলায় । ঐ রকম সাধু দেখেছিলাম। দু’তিন জন বসে আছে; কেউ ডাল বাচ্ছেন, কেউ কেউ কাপড় সেলাই কচ্ছেন, আর বড় মানুষের বাড়ীর

  • Take no thought for the morrow.”

রাসমণির দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ীতে ষে পঞ্চবটা আছে, সেইখানে ।