পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । (গৃহস্থাশ্রম ও ঈশ্বর । ) ইরামকৃষ্ণ । গান শুনলে ? “কালী নামে দাওরে বেড়া ফসলে তছরূপ হবে না। ঈশ্বরের শরণাগত হও, তাহলে সব পাবে। সে যে মুক্তকেশীর শক্ত বেড়, তার কাছেতে যম ঘেসে না। শক্ত বেড়া . তাকে যদি লাভ করতে পাৰ্ব, সংসার অসার ব’লে বোধ হবে না। যে তাকে জেনেছে, সে দেখে যে জীবজগৎ সে তিনিই হয়েছেন । ছেলেদের খাওয়াবে, যেন গোপালকে খাওয়াচ্চো । পিতামাতাকে ঈশ্বর ঈশ্বরী দেখবে ও সেবা ক’বৃবে : তাকে জেনে সংসার করলে লোকের বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ঐহিক সম্বন্ধ থাকে না । দুজনেই ভক্ত, কেবল ঈশ্বরের কথা কয়, ঈশ্বরের প্রসঙ্গ লয়ে থাকে ভক্তের সেবা করে । সৰ্ব্বভূতে তিনি আছেন, তাহার সেব দুজনে করে । - - প্রতিবেশী। মহাশয়, এরূপ স্ত্রীপুরুষ তো দেখা যায় না। স্ত্রীরামকৃষ্ণ । আছে ;–অতি বিরল ;–বিষয়ী লোকেরা তাদের চিনতে পারে না। তবে এরূপট হ’তে গেলে দুজনেরই ভাল হওয়া চাই। দুই জনেই যদি সেই ঈশ্বরানন্দ পেয়ে থাকে, তাহলেই এটা সম্ভব হয়। ভগবানের বিশেষ কৃপা চাই। না হ’লে সৰ্ব্বদা অমিল হয়। এক জনকে অক্ষাতে যেতে হয়। যদি না মিল হয়, তা হ’লে বড় যন্ত্রণ। স্ত্রী হয়তো রাত দিন বলে, “বাবা কেন এখানে বিয়ে দিলে ? না খেতে পেলুম, ন ৰাছাদের খাওয়াতে পারলুম, ন পৰ্বতে পেলুম, না বাছাদের পরাতে পেলুম, না একখান গয়না! তুমি আমায় কি মুখে রেখেছ। চক্ষু বুজে ঈশ্বর ঈশ্বর করছেন। ও সব পাগলামী ছাড়ো " . _ _ একজন ভক্ত। এসব প্রতিবন্ধক আছে, আবার হয়তো ছেলের অবাধ্য। তার পর কত আপদ আছে। তবে মহাশয় উপায় কি? । - উপায় | ] জীরামকৃষ্ণ। সংসারে থেকে সাধন করা বড় কঠিন । অনেক ব্যাঘাত— তা আর তোমাদের বলতে হবে না-রোগ, শোক, দারিক্স্য আবার স্ত্রীর সঙ্গে মিল নাই, ছেলে মৰাধ্য, মুখ, গোয়ার। তবে উপায় আছে। মাঝে মাঝে